পদ্মা সেতুর নাট খোলা বায়জিদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়নি, আটকও নেই
পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খোলার ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক বায়েজিদ তালহার (৩০) গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বায়েজিদ তালহার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বায়েজিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
বায়জিদের ভাবি খাদিজা আক্তারের ভাষ্য, সোমবার বিকেল চারটার দিকে ৭ থেকে ৮টি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় তাঁরা এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে বসতঘরে ভাঙচুর করেন। এ হামলার পর তিনি আতঙ্কে আছেন। এ হামলার ঘটনার পর চলে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নামে বিভিন্ন স্লোগান দেয় বলেও জানান তিনি।
তবে ছাত্রলীগ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি হৃদয় আশীষ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নাট খুলে তাচ্ছিল্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বায়েজিদের ওপর খেপেছে। স্থানীয় জনতা এর প্রতিবাদ করেছে।
রোববার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে বায়েজিদ তালহাকে পদ্মা সেতুর নাট খুলতে দেখা যায়। পরে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বায়েজিদের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বায়জিদের গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বায়জিদের ভাবি খাদিজা আক্তার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে মামলা করেননি।