বরুড়া পৌর নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ বাহাদুরুজ্জামান

মো. বক্তার হোসেন ও মো. বাহাদুরুজ্জামান

কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মো. বাহাদুরুজ্জামান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার বেলা তিনটায় তাঁর নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই ঘোষণা দেন। বাহাদুরুজ্জামান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. বাহাদুরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে তিনি সরাসরি কাজ করবেন কি না, এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মো. বাহাদুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি, এটাই আমার বক্তব্য।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
মো. বাহাদুরুজ্জামান, বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থী

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি বরুড়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মো. বক্তার হোসেন, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মো. জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আবুল বাসার, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের আবদুল কাদের, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নারিকেলগাছ প্রতীকের মো. বাহাদুরুজ্জামান, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী পৌর যুবলীগের সভাপতি হেলমেট প্রতীকের কামরুল হাসান ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ মোবাইল ফোন প্রতীকের আবদুল কাদের সাঈদ। এর মধ্যে মো. বাহাদুরুজ্জামান আজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। এ অবস্থায় এই পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে। এ পৌরসভায় ভোটার ৩৬ হাজার ৩০৩ জন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. বক্তার হোসেন বলেন, ‘উনি (বাহাদুরুজ্জামান) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা আমার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। উন্নয়নের জন্য সবাই নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে আছেন।’

আরও পড়ুন