ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু, ফেরিতে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের মেঘনা নদীতে একটি ফেরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরদিন আজ শুক্রবার আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সকালের দিকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে দুটি ফেরি ছেড়েছে। তবে ভাটার কারণে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট থেকে কোনো ফেরি ছাড়েনি।
গতকাল বৃহস্পতিবারের কলমিলতা ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি যান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গতকাল বিকেলের দিকে গঠন করেছে ভোলার জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহসিন আল ফারুক, ভোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. ফারুক হোসেন ও ভোলা বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী বলেন, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদার বলেন, তাঁরা তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। আগামীকাল শনিবার মাঠে নামবেন।
ভোলা নদীবন্দরের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কমিটির প্রধান এখনো তাঁদের ডাকেননি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলার ম্যানেজার মো. পারভেজ জানান, আগুনে চারটি কাভার্ড ভ্যান, তিনটি ট্রাক, একটি পিকআপ, একটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং অপর একটি ট্রাক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেরিতে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের ককশিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় ফেরিতে থাকা গাড়ির চালকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে এবং ফেরির মাস্টার মো. জমশেদ আলী বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ফেরিতে আগুন লাগার কারণে ওই দিন কোনো গাড়ি চলতে পারেনি। আজ সকালে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে দুটি ফেরি ছেড়ে গেছে, কিন্তু ডুবোচর-ভাটার কারণে দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর ঘাটে পৌঁছায়নি। ভাটা ও ডুবোচরের কারণে লক্ষ্মীপুর ঘাট থেকেও কোনো ফেরি ছাড়তে পারেনি। এ কারণে দুই পাড়ে দুই শতাধিক গাড়ি আটকে আছে।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ১৯টি গাড়ি নিয়ে ফেরিটি লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলায় আসছিল। এর মধ্যে আগুনে ১০টি গাড়ি পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফেরি ও আরও নয়টি গাড়ি আগুনের হাত থেকে রক্ষা করে।