মুন্সিগঞ্জে হরতালে সংঘর্ষ: হেফাজতের ৬১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সংঘর্ষে আহত সিরাজদিখান থানার ওসি এস এম জালাল উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় ৬১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিমন হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলার সব আসামি হেফাজতের নেতা-কর্মী। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় তাঁদের আসামি করা হয়নি। এই মামলায় গতকাল রাতে ৮ মাদ্রাসাছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত রোববার হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সকাল থেকেই মধুপুর পীর আবদুল হামিদের নেতৃত্বে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচি শেষে তাঁরা শুলপুর-নিমতলা সড়কে পৌঁছালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং পরে রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে সিরাজদিখান থানার ওসি এস এম জালাল উদ্দিন, হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর আবদুল হামিদ, সিরাজদিখান থানার এসআই সেকেন্দার আলী ও রাজু আহমেদসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

আরও পড়ুন