মেঘনায় যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতি, ছয় দিন পরও কোনো গ্রেপ্তার নেই

প্রতীকী ছবি

মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এমভি মকবুল-২ লঞ্চে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার রাতে মতলব উত্তর থানায় ডাকাতির মামলা করেন লঞ্চটির এক যাত্রী।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটিতে ডাকাতির ঘটনায় লঞ্চটির যাত্রী স্কুলশিক্ষক মো. হামিদ মিয়া অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে তাঁর থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন। ডাকাতেরা ওই ব্যক্তির টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁকে মারধরও করে। ওই স্কুলশিক্ষকের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাইশপুর গ্রামে। ওসি আরও বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু তাহের খান আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, একটি আন্তজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এমভি মকবুল-২ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনলের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ১১টায় লঞ্চটি মেঘনার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছালে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল স্পিডবোটে সেখানে আসে এবং লঞ্চটি থামিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতেরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রের মুখে লঞ্চটির চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। এরপর যাত্রীদের মারধর করে তাঁদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা, ৫০-৬০টি মুঠোফোনের ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার লুট করে স্পিডবোটে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন