যশোরে বাসের চাপায় পড়ে নিহত বেড়ে ২

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

বাইসাইকেলে করে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন কওমি মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থী। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে পড়ে তাঁদের ওপর। এতে চাপা পড়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র নিহত হয়েছেন। বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

আজ শনিবার যশোর সদর উপজেলার হুদোরাজাপুর এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার লাউড়ী গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাহাদী হাসান (১৯) ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বসতপুর গ্রামের সরাফাত মোল্যার ছেলে শাহিন হোসেন (১৭)। তাঁরা হুদোরাজাপুর হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

যশোরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লাশ যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

একজন হাসপাতালে আনার পথেই মারা গেছেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এনাম উদ্দিন, চিকিৎসক, যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি মাগুরা থেকে যশোর যাচ্ছিল। বেলা আড়াইটার দিকে বাসটি হুদোরাজাপুর এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে বাসটি মহাসড়ক থেকে নিচে নেমে যায়। এরপর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে যায়।

পাশ দিয়ে বাইসাইকেলে করে মাদ্রাসার পাঁচজন শিক্ষার্থী সদর উপজেলার জগমহনপুর গ্রামে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। বাসটি তাঁদের শরীরের ওপর পড়ে। এতে ওই পাঁচজনসহ ২০ জন যাত্রী আহত হন। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনকে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শাহিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাদী মারা যান।

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনাম উদ্দিন বলেন, একজন হাসপাতালে আনার পথেই মারা গেছেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন