রংপুর মেডিকেলে বার্ন ইউনিটের সব এসি চালু হলো, রোগীদের স্বস্তি

আজ সকাল থেকে দিনভর কাজ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরোদমে চালু হয়েছে
প্রথম আলো

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি) পুরোদমে চালু হয়েছে। সাতটি পুরোনো এসি মেরামত এবং তিনটি নতুন এসি স্থাপনের ফলে আজ সোমবার থেকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন ও হাসপাতালের বার্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ।

গণপূর্ত বিভাগের পক্ষে আজ সকাল থেকে দিনভর কাজ করে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের আইসিইউর শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনরায় চালু হয়। এ নিয়ে গত শনিবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘১০টি এসির ৯টিই নষ্ট, গরমে রোগীদের কষ্ট’ এবং আজ প্রথম আলোর ৩-এর পাতায় ‘অকেজো এসি মেরামতে হাসপাতালের উদাসীনতা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

গণপূর্ত বিভাগ রংপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাত্র সাত দিন আগে (১ জুন) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি দেওয়ার পর অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করা হলো।’ তিনি আরও বলেন, দুই টনের তিনটি নতুন এসি লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সাতটি পুরোনো এসি কমপ্রেসর লাগানোসহ মেরামত করা হয়েছে। এর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। সময়মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানালে হয়তো আরও আগে এসব ঠিক হয়ে যেত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রথম দিন (শনিবার) প্রথম আলোয় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এসি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এম এ হামিদ, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান

এদিকে আইসিইউতে শীতল হাওয়া ফিরে আসায় চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা দগ্ধ রোগী রুবেল মিয়া (২৫) ছয় দিন আগে ভর্তি হওয়ার পর গরমে ছটফট করছিলেন। তিনি বলেন, ‘এসিগুলো ঠিকঠাক হওয়ায় এখন গরম থেকে রেহাই পেয়েছি।’

বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘প্রথম দিন (শনিবার) প্রথম আলোয় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এসি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।’

হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম এ জন্য গণপূর্ত বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে তারা কাজটি করায় রোগীরাও স্বস্তি পেয়েছেন।