রিকশাচালককে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় রাসেল মিয়া নামের এক যুবককে হত্যার অপরাধে দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর জেলা ও দায়রা জজ মো.জুলফিকার আলী খাঁন রোববার দুপুরে এ রায় দেন। মো.রাসেল মিয়া ইসলামপুর উপজেলার পূর্ব শশারিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে। তিনি রিকশাচালক ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল খালেক (৫৮) ও তাঁর ছোট ভাই ভুট্টু মিয়া (৪৩)। এ ছাড়া এই হত্যা মামলার আসামি মো. ছামিউল, মো.জহিজল, আবদুর রশিদ, মো.কাশি, ফুলু মিয়া, মো.বিদ্যুৎ ও বাবলু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল খালেক (৫৮) ও তাঁর ছোট ভাই ভুট্টু মিয়া (৪৩)। এ ছাড়া এই হত্যা মামলার আসামি মো. ছামিউল, মো.জহিজল, আবদুর রশিদ, মো.কাশি, ফুলু মিয়া, মো.বিদ্যুৎ ও বাবলু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মো.রাসেল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জুয়া খেলা নিয়ে ঝগড়া ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার জেরে আবদুল খালেক ও ভুট্টু মিয়া ২৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মো.রাসেল মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁরা তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। ২৮ ডিসেম্বর সকালে আসামিদের বাড়ির পাশে একটি আখখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ওই দিনই তাঁর মা আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি নির্ম্মল কান্তি ভদ্র। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও আনোয়ারুল করিম।

জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি নির্ম্মল কান্তি ভদ্র বলেন, পাঁচ মাস তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৫ মে ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.মনিরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দিলেন।