শাহজাদপুরে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে চারজনের আত্মসমর্পণ

গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করছেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে প্রায় সাত ঘণ্টা পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ওই বাড়ি থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করেছেন।

র‍্যাবের ভাষ্য, শাহজাদপুরে আত্মসমর্পণ করা চারজনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। এর আগে রাজশাহী শাহ মখদুম এলাকায় মাসিক সভা করার সময় আঞ্চলিক কমান্ডার মাহমুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শাহজাদপুরের উকিলপাড়া এলাকার ওই বাড়ি র‍্যাব ঘিরে রাখে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার শাহজাদপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের ওই চারজনের আত্মসমর্পণের বিষয়ে ব্রিফ করেন।

আত্মসমর্পণকারীরা হলেন জেএমবির আঞ্চলিক সেকেন্ড ইন কমান্ড কিরণ ওরফে শামীম ওরফে হামিম, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাইমুল ইসলাম, দিনাজপুরের আতিয়ার রহমান ওরফে কলম সৈনিক ও সাতক্ষীরার আমিনুল ইসলাম ওরফে শান্ত।
কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, শাহ মখদুম এলাকায় মাসিক সভা করার সময় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাহমুদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাহজাদপুরের উকিলপাড়ার ওই বাড়ি ঘিরে রাখে র‍্যাব। প্রাথমিক অবস্থায় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে চার থেকে পাঁচটি গুলি ছোড়া হয়। এ অবস্থায় ওই বাড়ির আশপাশ থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা ওই চারজন আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় বাড়িটি থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, গান পাউডার, ফিউজ, জিহাদি বই, বিভিন্ন নির্দেশনামূলক বই, একটি চাপাতি ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার আরও বলেন, বাড়িটি মূলত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এখানে অনার্স-মাস্টার্স, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে আদর্শগত প্রচারণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ২০ থেকে ২৫ দিন আগে তাঁরা ছাত্র পরিচয়ে বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়ির মালিক বগুড়ায় থাকেন।
এদিকে অভিযান পরিচালনার সময় স্থানীয় লোকজনের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এবং সহযোগিতার জন্য তিনি তাঁদের (স্থানীয়দের) ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িটিতে তল্লাশি এখনো চলছে।