‘শুরু থিকাই এলোমেলো স্পিডবোট চালাচ্ছিল চালক’

মাদারীপুরের শিবচরে আজ সোমবার নৌ দুর্ঘটনায় স্বামী–সন্তানকে হারিয়ে আদুরি বেগমের আহাজারি
প্রথম আলো

মাদারীপুরের শিবচরে আজ সোমবার বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচা পাঁচ যাত্রীর একজন আদুরি বেগম অভিযোগ করেন, চালক ঠিকমতো স্পিডবোট চালাতে পারছিলেন না।

আজ সকাল সাতটার দিকে বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরোনো কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন আদুরি বেগমের স্বামী আরজু মিয়া ও দেড় বছরের সন্তান ইয়ামিন।

পদ্মার পাড়ে আহাজারি করতে করতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আদুরি বেগম বলছিলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট থাইকা গাদাগাদি কইরা স্পিডবোট ছাড়ে চালক। যাত্রার শুরু থিকাই এলোমেলো স্পিডবোট চালাচ্ছিল। শুরুতে একবার বোটটি উল্টো যাচ্ছিল। চালকের কারণেই আইজ আমার স্বামী-সন্তান হারাইলাম।’

আরও পড়ুন

বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবোটটি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরোনো কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়।

ঘটনায় মাদারীপুর স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজাহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের তদন্ত কমিটি করেছেন জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন। এ ছাড়া নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। লকডাউনে স্পিডবোট বন্ধ থাকার পরেও কেন এমন দুর্ঘটনা—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্পিডবোটটি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে বাংলাবাজার আসে। তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিডবোট ছাড়ে। এসব বিষয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় আহত অবস্থায় উদ্ধার স্পিডবোটের চালককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে পুলিশের নজরদারিতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন।