শ্রীপুরে একই পরিবারের চারজনকে পিটুনির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

জমি নিয়ে বিরোধে একই পরিবারের চার সদস্যকে পেটাচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের শৈলাট গ্রামে
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক বৃদ্ধ ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটুনির ঘটনায় হওয়া মামলায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে উপজেলার শৈলাট গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোছা. শম্পা (২৬) ওই গ্রামের মো. হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে আবারও গিয়েছেন তাঁরা। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। মামলার আসামি একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজনকে বেশ কয়েকজন মিলে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। মার খেয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও দুজনকে লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে।

পরবর্তী সময়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরের শৈলাট দক্ষিণপাড়া গ্রামে শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। মারধরে আহত ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের মো. সেকান্দর আলী (৬০), তাঁর স্ত্রী রাজিয়া খাতুন (৪০), ছেলে জাফর ইকবাল (২৫) ও শ্যালিকা মিতালী ইসলাম (৩০)। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলার শিকার সেকান্দর আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবার বলছে, তাঁর হাত ও পা ভেঙে গেছে।

আরও পড়ুন

আহত সেকান্দার আলীর মেয়ে সাগরিকা সুলতানার ভাষ্যমতে, ওই গ্রামের আহাম্মদ আলী (৫০), মো. আতিকুল ইসলাম (২৫), মো. হাফিজ (৩২), হাবিবুর রহমানের (৫৮) নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সেকান্দর আলীর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে সাত বিঘা জমি বেশ কিছুদিন ধরে জোর করে দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছিলেন হামলাকারীরা। শুক্রবার রাতে ওই জমিতে গাছ লাগিয়ে ও সীমানা খুঁটি স্থাপন করে প্রতিপক্ষ। শনিবার ঘুম থেকে উঠে গাছ লাগানো ও খুঁটি স্থাপন করার বিষয়ে জানতে পারেন তাঁরা। সেকান্দর আলী জমিতে গিয়ে দু-একটি চারা উঠিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। তাঁরা পিটিয়ে সেকান্দার আলীর হাত–পা ভেঙে ফেলেন। এরপর ছেলে জাফর ইকবাল বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও পেটানো হয়। রাজিয়া ও মিতালী ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। এ অবস্থায় তাঁরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন জাফর ইকবাল। মামলায় ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে।