সাফারি পার্কে নতুন অতিথি এল ভিনদেশি কমন ইল্যান্ডের ঘরে

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জন্ম নিয়েছে কমন ইল্যান্ড শাবক। মা কমন ইল্যান্ডের দুধ পান করতে দেখা যায় ফুটফুটে শাবককে। আজ বুধবার দুপুরে পার্কের কোর সাফারি থেকে তোলাসাদিক মৃধা

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আজ বুধবার দুপুরে আফ্রিকান তৃণভোজী প্রাণী কমন ইল্যান্ড আরেকটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে প্রাণিবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে কমন ইল্যান্ডের সদস্যসংখ্যা হলো ৪। এদের মধ্যে তিনটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী। সদ্যোজাত শাবকটি পুরুষ।

সন্ধ্যায় এসব তথ্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন গত বছরের ১৮ মে কমন ইল্যান্ড পরিবারে প্রথম একটি শাবক পাওয়া গিয়েছিল। ঠিক ১০ মাসের মাথায় আরও একটি শাবক পেলাম আমরা।’ তিনি বলেন, আজ কোর সাফারির ভেতর সদ্যোজাত কমন ইল্যান্ড শাবকটি তার মায়ের দুধ পান করছিল। এ সময় শাবককে তার মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখতে পান পার্কের কর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, দুপুর ১২টার দিকে শাবকটির জন্ম হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, দুপুর ১২টার দিকে শাবকটির জন্ম হয়েছে।

পার্কের বন্য প্রাণী শাখার পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন বলেন, কমন ইল্যান্ড সাধারণত একবারে একটি বাচ্চার জন্ম দেয়। এদের গর্ভকালীন সময় ৯ মাস। বন্য পরিবেশে এদের গড় আয়ু ২০ থেকে ২৫ বছর। নারী কমন ইল্যান্ড দুই থেকে তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক হয় চার থেকে পাঁচ বছরে।

আরও পড়ুন

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘অনুকূল পরিবেশ ও পরিচর্যায় আমরা নিয়মিত প্রাণীদের বাচ্চা পাচ্ছি। নতুন কমন ইল্যান্ড সদস্য ভিন্ন মাত্রার সৃষ্টি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কমন ইল্যান্ড অ্যান্টিলোপ প্রজাতির আফ্রিকান প্রাণী। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক স্থানে এদের দেখা যায়। তিনি আরও জানান, মেয়ে কমন ইল্যান্ডের ওজন প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ৩০০-৬০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষের ওজন ৪০০ থেকে ৯০০ কেজি। এদের দেহের দৈর্ঘ্য মেয়ের ক্ষেত্রে ৮০-১১০ ইঞ্চি ও পুরুষের ৯৪-১৩৬ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এরা মূলত তৃণভোজী। সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫ সালের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি মেয়ে ও একটি পুরুষ কমন ইল্যান্ড আনা হয়।