কমন ইল্যান্ডের ঘরে এল সন্তান

কমন ইল্যান্ড শাবক। ছবি: বন বিভাগের সৌজন্যে
কমন ইল্যান্ড শাবক। ছবি: বন বিভাগের সৌজন্যে

সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান তৃণভোজী প্রাণী কমন ইল্যান্ড বাচ্চা প্রসব করেছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কোর সাফারিতে গত সোমবার সকালে বাচ্চাটির জন্ম হলেও আজ বুধবার দুপুরে খবরটি প্রকাশ পায়। নবজাতক ও মা উভয়ই ভালো আছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

পার্ক সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কমন ইল্যান্ড একটি মেয়ে বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে মা নির্দিষ্ট এলাকায় বাচ্চাকে পরিচর্যা করছে। বাচ্চাটি জন্মের পর থেকেই হাঁটতে পারছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরঘুর করছে। মাঝে মাঝে দুধ পান করে। সন্তানের নিরাপত্তার জন্য মা কমন ইল্যান্ড তাকে নিয়ে ঝুপের আড়ালে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে বাইরে বের হচ্ছে।

নবজাতক ও মা উভয়ই ভালো আছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। ছবি: বন বিভাগের সৌজন্যে
নবজাতক ও মা উভয়ই ভালো আছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। ছবি: বন বিভাগের সৌজন্যে

সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক (ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার) সরোয়ার হোসেন খান জানান, কমন ইল্যান্ড এন্টিলুপ প্রজাতির আফ্রিকান প্রাণী। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক স্থানে এদের দেখা যায়। তিনি আরও জানান, মেয়ে কমন ইংল্যান্ডের ওজন প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ৩০০-৬০০কেজি পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষের ওজন ৪০০-থেকে ৯০০কেজি। এদের দেহের দৈর্ঘ্য মেয়ের ক্ষেত্রে ৮০-১১০ইঞ্চি ও পুরুষের ৯৪-১৩৬ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এরা মূলত তৃণভোজী। সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫ সালের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি মেয়ে ও একটি পুরুষ কমন ইল্যান্ড আনা হয়। সদ্যোজাত এই শাবকসহ সাফারি পার্কে মোট কমন ইংল্যান্ডের সংখ্যা ৩। নবজাতকের নিরাপত্তার স্বার্থে মা ও বাচ্চাকে দর্শনার্থীদের থেকে আপাতত দূরে রাখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, ভিনদেশের প্রাণী কমন ইল্যান্ড পার্কে প্রথমবারের মতো বাচ্চা প্রসব করেছে। এগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণী হলেও আমাদের পার্কে অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় প্রাণীগুলো বংশ বিস্তার করতে পারছে। কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শনার্থীরা নতুন জন্ম নেওয়া কমন ইল্যান্ড শাবক দেখতে পারবে।