সালথায় সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিমান্ডে

সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথায় ৫ এপ্রিল রাতে সহিংসতার ঘটনায় সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামানের (৪০) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারুক হোসাইন শুনানি শেষে তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার সমিনুর রহমান (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) ওয়াহিদুজ্জামানের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার রাত আটটার দিকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকা থেকে ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার তাঁর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তবে ওই দিন রিমান্ডের শুনানি হয়নি।

ওয়াহিদুজ্জামান সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হাই মোল্লার ছেলে। তিনি ২০১৪ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি (ওয়াহিদুজ্জামান) ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা) আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

আরও পড়ুন

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, সালথায় সরকারি অফিসে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে ওয়াহিদুজ্জামানের নাম উঠে আসায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনায় সালথা থানায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলা করা হয়েছে। এতে মোট ৩৬৪ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও চার হাজার ব্যক্তিকে।

এসব মামলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুজন আসামি গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন। অন্য দুই আসামি গুলিতে নিহত হয়েছেন।

লকডাউনকে কেন্দ্র করে ও পরে নানাবিধ গুজব ছড়িয়ে ৫ এপ্রিল রাতে সালথা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুটি সরকারি গাড়িসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন তাঁরা। এ ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

আরও পড়ুন