‘সাহায্য পাইয়া বিরাট উপকার হইছে’

ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে আড়াই শ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। বুধবার নেত্রকোনার কলমাকান্দার বড়ইউন্দ গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

‘ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার কলমাকান্দার বড়খাপন ও ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুপুরে বড়খাপন ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বড়ইউন্দ গ্রামে ২৫০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল দুই কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, ১০টি খাবার স্যালাইনের প্যাকেট, পানির বোতল,বিস্কুট, মোমবাতি ও লাইটার।

আরও পড়ুন

এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল মামুন, হাসপাতালের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. হাসিবুর রহমান, ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফের কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা অঞ্চলের প্রধান রাকিবুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হোসেন, খালিদ জামিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ব্রিজপাড় প্রতিবন্ধী স্কুল প্রাঙ্গণে ১০০ বন্যার্ত মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, দেশলাই, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধ। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুল করিম, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ মো. সাইফুল আমিন, এসকেএফের জামালপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. ফরিদ হোসেন, শেরপুরের ব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ হাসান, বিক্রয় ব্যবস্থাপক মোস্তফা আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বুধবার সদর ইউনিয়নের ব্রিজপাড় স্কুল প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

ত্রাণ পেয়ে কলমাকান্দার বড়ইউন্দ গ্রামের গৃহিণী উমা রানী দাস (৪৩) প্রথম আলোকে বলেন, বন্যায় পানিতে বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। খাটের ওপরে খাট রেখে থাকছেন। কলাগাছের ভেলা বানিয়ে একটি গরু ও দুটি ছাগল রেখেছেন। ঘরে খাবার নেই। ত্রাণ পেয়ে খুবই উপকার হয়েছে তাঁদের। একই গ্রামের বাসিন্দা অনিমেষ সরকার বলেন, ‘বন্যায় সব ভাসাইয়া নিয়া গেছে। ঘরে কোনো খাওন নাই। এই সাহায্য পাইয়া বিরাট উপকার হইছে।’

আরও পড়ুন