সিরাজগঞ্জে জয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী তরিকুল হত্যায় আরও চারজন গ্রেপ্তার

তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলর মো. তরিকুল ইসলাম খান হত্যা মামলায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও থেকে তিনজন এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন হত্যা মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি। আরেকজন সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারীপাড়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেন ব্যাপারীর ছেলে এনামুল হাসান লিখন (৩১), তাঁর বড় ভাই সানোয়ার হোসেন রতন (৪৩), মৃত শুকুর আলীর ছেলে শহীদগঞ্জ মহল্লার মো. গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামাল (৬০) এবং সন্দেহভাজন উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর এলাকার মাহাতাব মণ্ডলের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৯)। মামলার এজাহারে এনামুল ২ নম্বর, সানোয়ার ৪ নম্বর এবং মোস্তফা ১৫ নম্বর আসামি। এনামুল ও সানোয়ার প্রধান আসামি পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের আপন ভাই।

আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধ আখতার। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে এনামুল হাসান, সানোয়ার হোসেন ও গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কয়েকটি টিম তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান। এ নিয়ে এই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষিত হওয়ার পরে মো. তরিকুল ইসলাম খানকে পরাজিত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। নিহতের ছেলে একরামুল হাসান পরের দিন রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাতে শাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন