সড়ক দুর্ঘটনা প্রথমে বাবা, পরে দাদি, শেষে কেড়ে নিল মাহমুদের প্রাণ

সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহবুব হাবিব
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গতকাল মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় চারুকলা বিভাগের ছাত্র মাহমুদ হাবিব ওরফে হিমেল নিহত হন। চার বছর আগে তাঁর বাবা আহসান হাবীব ও মা মুনিরা আক্তার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। দুর্ঘটনা–পরবর্তী জটিলতায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। তিন বছর আগে দাদি আমেনা বেওয়াও মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়।

আরও পড়ুন

মাহমুদ হাবিবের মৃতদেহ আজ বুধবার দুপুরে যখন নাটোর শহরে তাঁর নানাবাড়িতে পৌঁছায়, মা মুনিরা আক্তার তখন ছিলেন নির্বাক। কারও সঙ্গেই তিনি কথা বলেননি। মুনিরার বৃদ্ধ বাবা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, একটার পর একটা সড়ক দুর্ঘটনা তাঁর মেয়ের জীবন দুর্বিষহ করে ফেলেছে। বিয়ের পর পৌর কর্মচারী স্বামী আহসান হাবীবকে নিয়ে তাঁর মেয়ের সুখের জীবন ছিল। এরপর তাঁদের সংসারে এল মাহমুদ। চার বছর আগে বগুড়ার শেরপুর থেকে মোটরসাইকেলে করে নাটোরে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন মাহমুদের বাবা–মা। সেই জটিলতায় বছরখানেক ভুগে মারা যান আহসান হাবীব। মুনিরা প্রাণে রক্ষা পেলেও মানসিক রোগীতে পরিণত হন। এখনো তাঁর চিকিৎসা চলছে।

আরও পড়ুন

মো. মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আহসান হাবীবের মৃত্যুর পর তাঁর মা আমেনা বেওয়া শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। মুনিরা আক্তার তখন একমাত্র সন্তান মাহমুদকে নিয়ে নাটোরে তাঁর কাছে চলে আসেন। মাহমুদ পড়ালেখার জন্য রাজশাহীতে থাকতেন। মাকে দেখতে মাঝেমধ্যে তিনি নাটোরে আসতেন। মায়ের ইচ্ছা ছিল, পড়ালেখা শেষে ছেলে চাকরি করবে। সবাই একসঙ্গে থাকবে। সেই স্বপ্ন চিরদিনের মতো শেষ হয়ে গেল গতকালের দুর্ঘটনায়।

আরও পড়ুন