৩৬ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি লাশের বাকি অংশ, থানায় মামলা

মাগুরায় এক যুবকের মাথাবিহীন খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও লাশের বাকি অংশের খোঁজ পায়নি পুলিশ
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় এক যুবকের মাথাবিহীন খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও লাশের বাকি অংশের খোঁজ পায়নি পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালুকান্দি গ্রামের একটি রাস্তার পাশে ও মজাপুকুর থেকে দুটি বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় দেহের খণ্ডিত দুটো অংশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো মাথা ও একটি পায়ের খোঁজ মেলেনি। পুলিশের ধারণা, অন্য কোনো জায়গায় হত্যা করে লাশটি সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

মাথা খুঁজে না পেলেও মরদেহটি মো. আজিজুর রহমান (৩০) নামের এক যুবকের বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বজনেরা। নিহত যুবকের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামে। তবে তিনি মহম্মদপুর উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামে নানা আবুল কাশেমের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। ওই যুবক মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা গ্রামে বিয়ে করেন। সবশেষ ওই গ্রামেই একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকছিলেন তিনি। পরনে থাকা পোশাক দেখে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

এখনো মাথা ও একটি পায়ের খোঁজ মেলেনি। পুলিশের ধারণা, অন্য কোনো জায়গায় হত্যা করে লাশটি সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় হত্যা ও লাশ গুমের একটি মামলা করেছেন। রোববার মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বানিয়াবহু নানার বাড়িতে ওই যুবকের লাশ দাফন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

নিহতের ভাই মো. হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর ভাই মাগুরায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বের হওয়ায় পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস সোমবার রাত আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের ভাই। তবে লাশের বাকি অংশের সন্ধান এখনো মেলেনি। পুলিশ এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তৎপর রয়েছে।