চট্টগ্রামে উপকূলের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা

সাগর উত্তাল। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ার টেক এলাকায়।
ছবি: সাজিদ হোসেন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার সঙ্গে বাংলাদেশের উপকূলের দূরত্ব কমছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম নগরের কাট্টলী, আকমল আলী সড়ক ও হালিশহরের জেলেপল্লি এবং বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় উপজেলার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে গত শুক্রবার রাতভর তৎপরতা চালানো হয়।

আরও পড়ুন

শুক্রবার দিবাগত রাত একটায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপকূলবর্তী পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ জেলেপল্লি পরিদর্শন করেন। তিনি এ সময় লোকজনকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। এর আগে শুক্রবার বিকেল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। রাতে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার পর এ তৎপরতা আরও বাড়ে।

রাতের মধ্যেই আকমল আলী ঘাট, রানী রাসমনিঘাট ও পতেঙ্গা এলাকার উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় পাঁচ হাজার জেলে পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হুছাইন মুহাম্মদ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

জেলা প্রশাসক আজ শনিবার সকাল ১০টায় বাঁশখালী উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি সেখানে উপকূলীয় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।

চট্টগ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১ হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবে বলে জেলা প্রশাসন জানায়।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি বাড়ছে। বাংলাদেশের উপকূলের সঙ্গে এর দূরত্বও কমছে। আজ সন্ধ্যার দিকে এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় পড়তে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন