‌‘ইয়াস’ মোকাবিলায় চসিক ও প্রশাসনের প্রস্তুতি

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ (নম্বর: ০৩১ ৬৩৩৬৪৯)। উপকূলীয় এলাকায় সেবা দিতে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবীও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির এসব তথ্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে উপকূলবর্তী উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলাগুলোতে প্রায় এক হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায়, তা এখন পরিষ্কার করা হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরাও।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ড উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত। এসব ওয়ার্ডে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডের প্রতিটির জন্য চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে সাগরের জোয়ারের পানিতে নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে কর্ণফুলী নদী হয়ে মহেশখালে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এরপর জোয়ারের পানি খাল উপচে আশপাশের এলাকায় হাঁটুপরিমাণ পানি জমে যায়। বেলা দুইটার পর পানি নামতে শুরু করে। জোয়ারের পানিতে বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।