কাল ও পরশু শীত বাড়তে পারে

ফাইল ছবি

এত দিন শীতের দাপট আটকে ছিল দেশের উত্তরাঞ্চলের শেষ জনপদ পঞ্চগড় আর কুড়িগ্রামে। গত দুই দিনে শীত রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি বড় শহর ছাড়া সবখানে ছিল। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট বিভাগ আর যশোর-চুয়াডাঙ্গায় হু হু করে বাড়ছে শীত। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী দু-তিন দিন টানা শীতের দাপট বাড়বে। এ সময় দেশের উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি চলে যেতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কমে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে যায়। বিশেষ করে রাতে ও ভোরে শীতের দাপট দ্রুত বাড়ছে। এসব এলাকায় ভোর আর সন্ধ্যার পর কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ঢেকে যাচ্ছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনো ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে আছে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় আর অন্য কোনো বাতাসের চাপ না থাকায় উত্তরাঞ্চল দিয়ে শীতের শীতল বাতাস আসছে। যে কারণে আগামী কয়েক দিন শীত বাড়তে পারে। তবে আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেটি মাসের শেষের দিকে নিম্নচাপে পরিণত হলে শীতের দাপট কিছুটা কমে আসবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, মাসের শেষের দিকে, অর্থাৎ ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। এরই মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানকার যা লক্ষণ বোঝা যাচ্ছে, তাতে ওই লঘুচাপটি দ্রুত শক্তি অর্জন করতে পারে।

আর এটি যত শক্তি অর্জন করবে, বঙ্গোপসাগর থেকে মেঘ আর দমকা হাওয়ার দাপট বাড়বে। এর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে শীতের হিমেল হাওয়া আসার গতি থমকে যেতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তা চলতে পারে। এতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শীত কমে আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।