চট্টগ্রামে বিন্না ঘাস উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন থাই রাজকুমারী

থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন চট্টগ্রামে বিন্না ঘাস উন্নয়ন কেন্দ্র (ভেটিভার সেন্টার) উদ্বোধন করেন। ছবি: প্রথম আলো
থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন চট্টগ্রামে বিন্না ঘাস উন্নয়ন কেন্দ্র (ভেটিভার সেন্টার) উদ্বোধন করেন। ছবি: প্রথম আলো

থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিধরন চট্টগ্রামে বিন্না ঘাস উন্নয়ন কেন্দ্র (ভেটিভার সেন্টার) উদ্বোধন করেছেন। পাহাড়ে ভূমিক্ষয় রোধ করতে বিন্না ঘাস রোপণ করা হয়। আজ বুধবার সকালে নগরের টাইগারপাস এলাকায় বিন্না ঘাস উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন রাজকুমারী সিরিধরন।

থাইল্যান্ডের সাইপাট্টানা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। এই প্রকল্পের আওতায় নগরের ক্ষয়প্রবণ পাহাড়গুলোতেও বিন্না ঘাস রোপণ করা হবে। পাহাড়ের পাদদেশে বিন্না ঘাস প্রদর্শন প্লটও তৈরি করা হয়েছে।

আজ সকালে থাইল্যান্ডের রাজকুমারী টাইগার পাসের বাটালি হিল মিঠা পাহাড়ের পাদদেশে এক অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাতে বিন্না ঘাস তুলে দেন। এরপর পাহাড়ের পাদদেশে বিন্না ঘাস প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন তিনি। পরে পাহাড়ের পাদদেশে বিন্না ঘাসের চারা রোপণ করে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত প্যানপিমন সোয়ানাপুগন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিন্না ঘাসের কারিগির সহায়তা প্রদানকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, শণের পাতার মতো দেখতে এ ঘাসের শিকড় অনেক লম্বা হয়। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই মাটির আট থেকে দশ ফুট গভীরে শিকড় চলে যায় এ ঘাসের। একটি শিকড়ের সহনশক্তি ইস্পাতের ছয় ভাগের এক ভাগ। প্রতিকূল পরিবেশেও এই ঘাস বেঁচে থাকতে পারে।