বিল গেটসের নতুন বই
জলবায়ু নিয়ে কথা বলতে হবে, আগে ভাবিনি
হাউ টু অ্যাভয়েড আ ক্লাইমেট ডিজাস্টার (জলবায়ু বিপর্যয় যেভাবে এড়ানো যায়) নামে নতুন বই আসছে বিল গেটসের। তাতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ দূর করার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। নতুন এই বই নিয়ে বিল গেটসের লেখাটি প্রকাশ হয়েছে গেটস নোটস ওয়েবসাইটে।
গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়টি আগেও অত্যাবশ্যকীয় ছিল, এখন আরও জরুরি।
কয়েক দশকের মধ্যে আমাদের অনেক নতুন উদ্ভাবনও প্রয়োজন, যা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বজুড়ে।
প্রয়োজন বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা। ভূমিকা রাখতে হবে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ অন্যান্য বিভাগকে।
আমি যখন মাইক্রোসফটে কাজ করতাম, তখন কয়েক বছর চেষ্টার পর একটি পণ্য বাজারে আসতে দেখাটা আমার কাছে সব সময়ই ছিল রোমাঞ্চকর। প্রত্যাশা পূরণের একই রকমের অনুভূতি আমি আজও অনুভব করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর লেখা আমার নতুন বই মঙ্গলবার অনলাইন ও বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে।
কীভাবে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো যায়, তা নিয়ে এই বইয়ে লিখেছি। কেননা আমি মনে করি, আমরা একটি সন্ধিক্ষণে আছি। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা উত্তেজনাপূর্ণ সব অগ্রগতি ঘটতে দেখছি। এই দীর্ঘ সময় ধরে জ্বালানি ও জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ে আমি নানা কিছু শিখছি। সৌর ও বায়ুশক্তি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন খরচ নাটকীয়ভাবে কমেছে। জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে যেকোনো সময়ের তুলনায় মানুষের সমর্থন আরও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলো (ক্ষতিকর গ্যাসের) নিঃসরণ কমাতে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করছে।
এখন আমাদের একটা পরিকল্পনা দরকার; যা আমাদের বড় লক্ষ্যগুলো অর্জনে এই সব প্রেরণাকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। এ জন্যই হাউ টু অ্যাভয়েড আ ক্লাইমেট ডিজাস্টার (জলবায়ু বিপর্যয় যেভাবে এড়ানো যায়) বইটি লেখা। বইটিতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ দূর করার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
বইটিতে অর্থহীন কথাবার্তা যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা করেছি। কেননা আমি চেয়েছি, যাঁরা জলবায়ু নিয়ে ভাবেন, বইটি যেন তাঁদের সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। আমি মনে করি না, জ্বালানি বা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পাঠক কিছু জানেন না। যদি আপনি জানেনও, আশা করি বইটি অবিশ্বাস্য রকম জটিল এই বিষয়ে আপনার বোঝাপড়া আরও সমৃদ্ধ করবে। জলবায়ু বিপর্যয় রোধে যে যে উপায়ে প্রত্যেকেই অবদান রাখতে পারেন, আমি সেসব উপায়ও এ বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছি। রাজনৈতিক নেতা, উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক, ভোটার বা সাধারণ ব্যক্তি—আপনি যা–ই হোন না কেন, কীভাবে অবদান রাখতে চান—তা যদি আপনি জানতে চান, তবে বইটি আপনার জন্য।
পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনকারী সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে আমার সংগঠন ‘ব্রেকথ্রু এনার্জি’। প্রতিটি পদক্ষেপের মাধ্যমে এমন জ্বালানির উদ্ভাবনকে গতিশীল করতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপকভাবে কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরের কাজ বেগবান করতে আমরা গবেষক, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগ করছি। পাশাপাশি সরকারি–বেসরকারি খাতে নীতি নির্ধারণে পরামর্শ দিচ্ছি। এসব নিয়ে আমার বইয়ে উল্লিখিত ধারণাগুলো কাজে পরিণত করতে এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে তৎপর হব আমরা।
বইটির সূচনার কিছু কথা নিচে তুলে ধরছি। এই বইয়ের বিষয়বস্তু ও আমি কেন তা লিখেছি, সে সম্পর্কে এটি আপনাকে একটি ধারণা দেবে। আশা করি, বইটি সম্পর্কে জানবেন। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি আশা করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে আমাদের সহায়তা করার জন্য আপনি যা করতে পারেন, করবেন।
বইয়ের সারাংশ
দুই দশক আগেও আমি কখনো ভাবিনি যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একদিন প্রকাশ্যে আমাকে কথা বলতে হবে। আর এ নিয়ে বই লেখার ভাবনা—সে তো ছিল আরও কম। আমার অতীত ইতিহাস সফটওয়্যারকে নিয়ে; জলবায়ুবিজ্ঞান নিয়ে নয়। আর এখনকার দিনগুলোয় আমার পুরো সময় কাটছে গেটস ফাউন্ডেশনে স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে কাজ করে। সেখানে আমরা সবিশেষ নজর দিচ্ছি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাত, উন্নয়ন ও মার্কিন শিক্ষাব্যবস্থার ওপরে।
জ্বালানি সহজলভ্যতার অভাবজনিত সমস্যা তুলে ধরার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিতে নজর দিয়েছি আমি।
চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকের শুরুর দিকে যখন আমাদের ফাউন্ডেশন সবে যাত্রা শুরু করে, তখন আমি সাবসাহারা ও দক্ষিণ এশিয়ার নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে সফর শুরু করি। উদ্দেশ্য ছিল, শিশুমৃত্যুর হার, এইচআইভি ও অন্যান্য বড় সমস্যা, যেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি, তা সম্পর্কে আরও জানা। কিন্তু সব সময় রোগ নিয়ে ভাবতাম না। দেশগুলোর প্রধান প্রধান শহরের আকাশের ওপর দিয়ে উড়ে গেছি। উড়োজাহাজের জানালা দিয়ে তাকিয়ে মনে প্রশ্ন জাগত, শহরগুলো এত অন্ধকার কেন? নিউইয়র্ক, প্যারিস বা বেইজিংয়ের মতো আলোকিত নয় কেন এই শহরগুলো?
আমি জেনেছি, প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–সুবিধার বাইরে ছিলেন। তাদের অর্ধেক সাবসাহারা আফ্রিকার বাসিন্দা (এখন অবশ্য এ দৃশ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে; বর্তমানে আনুমানিক ৮৬ কোটি মানুষ এ সুবিধাবঞ্চিত)। আমি ভাবতে শুরু করি, দরিদ্রদের জন্য বিশ্ব কীভাবে জ্বালানি সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়টিকে সহজলভ্য ও নির্ভরযোগ্য করতে পারে। কিন্তু এত বড় সমস্যা নিয়ে আমাদের ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে, সে ধারণা তখনো আমাদের মাথায় আসেনি। এই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্যের দিকেই আমাদের মনোযোগ ধরে রাখার প্রয়োজন ছিল। তবু আমার কাছের কিছু উদ্যোক্তা বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
২০০৬ সালের শেষ দিকে আমি মাইক্রোসফটের দুই সাবেক সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করি। তাঁরা জ্বালানি ও জলবায়ু বিষয়ের ওপর কাজ করছিলেন, যা ছিল অলাভজনক। সাক্ষাতে তাঁরা দুজন জলবায়ুবিজ্ঞানীকে নিয়ে আসেন, যাঁদের ওই দুই বিষয়ে বিশেষ পাণ্ডিত্য ছিল। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্কবিষয়ক তথ্য–উপাত্ত তাঁরা চারজন আমাকে দেখান।
আমি জানতাম, গ্রিনহাউস গ্যাস তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। তবে আমি এ ধারণা পোষণ করেছি, চক্রাকারে অবর্তিত কিছু বিষয় বা অন্য উপায়–উপকরণ রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে সত্যিকার অর্থেই জলবায়ু বিপর্যয় রোধ করতে পারে। আর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ যেকোনো মাত্রায় অব্যাহত থাকলেও তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে—এটা মেনে নেওয়া ছিল কঠিন।
বিভিন্ন সম্পূরক প্রশ্ন নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার ওই দলের কাছে ফিরে গেছি। কার্যত সেই চেষ্টা জলে গেছে। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে তাদের অধিকতর জ্বালানি সুবিধা প্রদান করা বিশ্বের প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের এমন জ্বালানি সরবরাহ করা দরকার, যা আর কোনো গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ঘটাবে না।
দৃশ্যত এখন সমস্যা আরও কঠিন হয়েছে। দরিদ্রদের কাছে সস্তা ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ করাই যথেষ্ট ছিল না; এটা পরিবেশবান্ধব হওয়ার প্রয়োজন ছিল।
কয়েক বছরের মধ্যে তিনটি বিষয়ে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম:
১. জলবায়ু দুর্যোগ এড়াতে হবে। আমাদের গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।
২. আমাদের কাছে যেসব উপকরণ, যেমন সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি রয়েছে, সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে ও উদ্ভাবনী উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।
৩. এবং আমাদের যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ছড়িয়ে দিতে হবে, যা আমাদের বাকি পথ পাড়ি দিতে সহযোগিতা করবে।
গ্রিনহাউস গ্যাসের সিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়টি আগেও অত্যাবশ্যকীয় ছিল, এখন আরও জরুরি। নিঃসরণের উৎস বন্ধ না করে কেবল নিঃসরণ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণে এ বিষয়টি অর্জন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে একমাত্র বিচক্ষণ লক্ষ্য হলো নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।
এই বইয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আমরা জলবায়ু দুর্যোগ এড়াতে নিজেদের সেরা সুযোগ দিতে পারি। বইটি পাঁচটি অংশে ভাগ করা যায়:
কেন শূন্য? প্রথম অধ্যায়ে আমি ব্যাখ্যা করেছি, কেন আমাদের গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কীভাবে বিশ্বজুড়ে সব জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে জানা (এবং অজানা) বিষয়গুলো আলোচনা করেছি।
দুঃসংবাদ হলো: গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন। কারণ, যেকোনো কিছু অর্জনে প্রতিটি পরিকল্পনার সূচনা ঘটে চলার পথে কী কী বাধা আসতে পারে, সেগুলো মূল্যায়নের মাধ্যমে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমি আলোচনা করেছি এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনার উপায় কী। তৃতীয় অধ্যায়ে আমি কিছু বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করেছি, যা আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রতিটি আলোচনায় যে প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি আমাকে হতে হয়েছে, সেগুলোও তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এসব প্রশ্ন অসংখ্যবার ভুল পথে পরিচালিত হওয়া থেকে আমাকে আটকে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, আপনাদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটবে।
সুসংবাদ হলো: আমরা গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে পারি। চতুর্থ থেকে নবম অধ্যায়ে আমি আলোচনা করেছি, আজকের প্রযুক্তি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে এবং কোথায় আমাদের নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন। বইটির সবচেয়ে বড় অংশ হবে এটি। কারণ, এখানে অনেক কিছুই আলোচনা করতে হয়েছে। আমাদের কাছে কিছু সমাধান আছে, যা এখনই বড় পরিসরে প্রয়োগ প্রয়োজন। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আমাদের অনেক নতুন উদ্ভাবনও প্রয়োজন, যা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বজুড়ে।
আমরা এখনই পদক্ষেপ নিতে পারি। এই বইটি লেখার পেছনে কারণ হলো, আমি কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাই দেখতে পাচ্ছি না, আমি এই সমস্যা সমাধানের সুযোগও দেখছি। এটা অলীক কোনো আশাবাদ নয়। বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি প্রয়োজনীয় উপকরণের মধ্যে দুটি আমাদের এরই মধ্যে রয়েছে। প্রথমত, আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক আন্দোলন ধন্যবাদ পেতেই পারে। দ্বিতীয়ত, সমস্যাটা সমাধানে আমাদের বড় বড় লক্ষ্য রয়েছে। নিজেদের জায়গা থেকে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া জাতীয় ও স্থানীয় নেতার সংখ্যা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে।
আমাদের এখন তৃতীয় উপাদানটি প্রয়োজন: লক্ষ্য অর্জনে সুদৃঢ় পরিকল্পনা।
জলবায়ু বিজ্ঞানের কল্যাণে পরিস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এখন প্রয়োজন বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা, যাতে ভূমিকা রাখতে হবে অন্যান্য বিভাগকেও—পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ফিন্যান্স এবং অন্যান্য বিভাগ। এই বইয়ের শেষ অধ্যায়ে আমি একটি পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছি, যা আমি এসব বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিকনির্দেশনায় পেয়েছি। দশম ও একাদশ অধ্যায়ে আমি আমাদের সবার জন্য এমন কিছু পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছি, যা আমরা সবাই নিতে পারি, যা বৈশ্বিক নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে সহায়ক হবে। আপনি ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা অথবা একজন ভোটার—যে–ই হয়ে থাকেন না কেন, আপনার ব্যস্ত জীবনে ফুরসত যত কমই হোক না কেন, তারপরও জলবায়ু দুর্যোগ এড়াতে আপনারও কিছু না কিছু করার সুযোগ রয়েছে।
আর কিছু বলার নেই। আসুন, কাজ শুরু করা যাক।