‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে না গেলে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ’

পরিবেশ সুরক্ষা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যেতে হবে। নয়তো টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আজ শনিবার রাজধানীতে ‘জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে দুই দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। আজ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন।

শনিবার অধিবেশনে বাপার সদস্য এবং বিজ্ঞানী ড. দীপেন ভট্টাচার্য বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাপানসহ বিশ্বের বেশির ভাগ উন্নত দেশ এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঝুঁকিতে পড়েছে। অনেক বেশি আর্থিক ও কারিগরি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তারা দুর্ঘটনা এড়াতে পারেনি। ফলে বাংলাদেশের জন্য আর্থিক, কারিগরি ও দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইপিএফ) গবেষক সায়মন নিকোলাস বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সরকারি সহায়তা এবং বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে তা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম বলেন, বিশ্বে ১৯৭০-এর দশক থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ে। এরপর পারমাণবিক, গ্যাসসহ অন্যান্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতে থাকে। কিন্তু ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পর বিশ্বে কয়লাসহ অন্যান্য দূষণকারী উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো সরে আসছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও এলএনজির দিকে ঝুঁকছে। তরল গ্যাস এলএনজির দাম করোনা পরিস্থিতির পর বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে তেলের দামও বাড়ছে।