বাঁধে বাঁধে ধসের খবর, বদলাতে হবে কৌশল

নদীর পাড় বাঁধার দিকেই সব মনোযোগ। নদীকে খুশি রেখে তার প্রবাহকে মাঝনদীতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই।

দেশের বিভিন্ন জেলায় নদীর তীর ও বাঁধ ভাঙার ঘটনা ঘটছে। ভাঙন রোধে নদীর তীরে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। ৮ আগস্ট রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের সোনাকান্দা গ্রামসংলগ্ন মৌলভীঘাট এলাকায়
ছবি: এজাজ আহম্মেদ

এবার এখনো বানে ভাসেনি দেশ। ভাদ্র এলেও ভরা ভাদরের কোনো লক্ষণ নেই। উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় পাট জাগ দেওয়ার মতো পানি নেই। এরপরও অনেক আগে থেকেই নদী রক্ষা, পাড় রক্ষা ও শহর রক্ষা বাঁধে ফাটল আর ধসের খবর আসছে। পানি আর স্রোত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের খবরের স্রোত বেড়ে যাচ্ছে।

বগুড়ার ধুনটে ১৬ আগস্ট ভরদুপুরে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারের আরও ৩০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এর আগে দুই দফা ভাঙনে মাটির তৈরি স্পারটি কংক্রিট বেল মাউথ বা ঢাকনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ২০০৩ সালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াজান গ্রামের কাছে আড়াআড়িভাবে একটি স্পার নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। স্পারের মাথায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কংক্রিটের বেল মাউথ সংযুক্ত করা হয়। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই দফা ধসের পর থেকে সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করে পাউবো। এরপরও ভাঙন বন্ধ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা বলেছেন ‘যেকোনো মূল্যে’ নদীর স্পার ও বেল মাউথের বিচ্ছিন্ন স্থান মেরামত করা হবে। কিন্তু কাজের পরিকল্পনা আর গতি দেখে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আশায় বুক বাঁধতে পারছেন না। তাঁদের বসতভিটা, আবাদি জমি, রাস্তাঘাটসহ অনেক অবকাঠামো হুমকির মুখে।

উজানে কুড়িগ্রামের সবচেয়ে ‘কায়েমি’ (স্থায়ী) উপজেলা রাজারহাট তিস্তার হঠাৎ ভাঙনে দিশেহারা। ভাঙনের আলামত দেখে লোকজন ছুটে গিয়েছিল পাউবোর দরজায়। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলে দেন, স্থানীয় লোকজন নদীর তীরে বাঁশ পুঁতে দিলে তাঁরা জিও ব্যাগ ফেলে দেবেন। কথামতো ভাঙন ঠেকাতে গ্রামবাসী নদীর ছয়টি স্থানে বাঁশ পুঁতে দেন। কিন্তু জিও ব্যাগ আর ফেলা হয়নি।

শ্রাবণের শেষে ও ভাদ্রের শুরুতে মরা কাটাল ও ভরা কাটালে নদীর রূপ বদলায়, পানি হুর হুর করে বাড়ে। পদ্মা-গড়াইয়ে সেই পানি বাড়ার প্রবণতা ফারাক্কার কারণে অন্য মাত্রা পায়, সেটা কি নতুন কিছু? পাউবো বা স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলীরা যেখান থেকে সনদ অর্জন করেছেন, সেখানে এটা পড়ানো না হলেও তাঁরা তো এ দেশেরই সন্তান; নদীকে চিনতে কি বই পড়া লাগে?

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গতিয়াসাম, চর নাখান্দা, বগুড়াপাড়া ও রতিগ্রাম এলাকায় তিস্তা নদীর পানির স্রোত উজান থেকে তীব্র বেগে এসে পাড়ে লাগছে। এতে পাড়ের মাটির বিশাল অংশজুড়ে ফাটল দেখা দিচ্ছে। নদীভাঙনের শিকার পরিবারগুলো সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আগে যখন তিস্তা জলাধার বা ব্যারাজ ছিল না, তখন এত বেগে পানি তীরে এসে আঘাত করত না বলে প্রবীণেরা জানিয়েছেন। আটকে রাখা পানি ছাড়লে স্রোতের গতি বাড়ে আর তার তীরকে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতাও বেড়ে যায়। জলাধার বা ব্যারাজ নির্মাণের পরিকল্পনা আর বাজেটের মধ্যে ভাটির মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি থাকা এবং তা ভাটির মানুষকে জানিয়ে দেওয়ার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত না করলে কীভাবে চলবে?

শুধু রাজারহাট নয়, কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে তিস্তার দুই পারের ৪৪ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন চলছে। বসতভিটা ও ফসলি জমির সঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কাঁচা-পাকা সড়ক। পাউবো কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করতে পারেনি।

ভোলার মনপুরা হাজিরহাট-চর যতিন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে। এতে সাত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সকালে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

উত্তরের আরেক জেলা লালমনিরহাটের অবস্থা আরও করুণ, অনেকটা এমন যে ‘রুটি ভাগ করতে গিয়ে থালাগুলো পড়ে আছে, রুটির কোনো গন্ধ নেই’। মাত্র চার কিলোমিটারের বাঁধের কাজ একজনে নিয়ে পাঁচ-ছয়জনের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। এরপরও তিন বছরে শেষ হয়নি। নদী তাই বলে বসে থাকেনি।

নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধসের খবর আসছে রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ থেকেও। ২০১৮ সাল থেকে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীরের (পদ্মা নদীর) প্রতিরক্ষার কাজ চলছে তো চলছেই—দফায় দফায়। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার কাজ এখনো চলমান। তার মধ্যেই গোদার বাজারের চর সিলিমপুর এলাকাসহ নানা জায়গায় বাঁধে ধস নেমেছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ কেন ভেঙে যাচ্ছে—উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দুষেছেন নদীকে। তাঁদের মতে, এ কাজের জন্য ২০১৬-১৭ সালে নকশা করা হয়। তখন নদীর যে গতিপথ বা অবস্থা ছিল, এখন সেটা নেই। হয়তো সেই কারণে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। তবে কাজের গুণগত মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আহা! নদী কেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে না জানিয়ে বা তাদের অনুমতি না নিয়ে যখন-তখন গতিপথ পরিবর্তন করে?

সবচেয়ে ভয়ংকর খবর আসছে কুষ্টিয়া থেকে। সেখানে গড়াই এখন প্রায় মরা একটা নদ। নদটির ওপর সেতু বানিয়ে রাজনীতির বাজিমাত হলেও ওপারের (হরিপুর) ঘরবাড়ি জমিজিরাত ভাঙনে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে। সেতু থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার অংশ ধসে যায় ১৫ আগস্ট সকালে। গত বছরও একই জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছিল। তখন সংস্কার করা হলে আজ এই পরিস্থিতি হয়তো হতো না। শিলাইদহের কুঠিবাড়িও আবার ভাঙনের হুমকির মুখে। ১০ বছর ধরে এই স্থাপনা রক্ষার নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রতি বর্ষায় মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে আর কান্নাকাটি করছে আসমানের দিকে তাকিয়ে।

পাউবো সূত্র জানায়, তিন সপ্তাহ ধরে গড়াই নদে বন্যার পানি প্রতিদিন বাড়ছে। তীব্র স্রোতও আছে। এতেই বাঁধ ধাক্কা সামলাতে পারছে না। যেখানে ভেঙেছে, সেখানে পানি কমলে আবারও ধস নামতে পারে। গড়াইয়ের বাঁধ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সেতুর মালিকপক্ষের সঙ্গে নদীশাসন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কটু গন্ধ তীর রক্ষার ভালো একটা উদ্যোগকে কি বরবাদ করে দেবে?

কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষাবাঁধের প্রায় ৪০ মিটার অংশ ধসে পড়ে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

শ্রাবণের শেষে ও ভাদ্রের শুরুতে মরা কাটাল ও ভরা কাটালে নদীর রূপ বদলায়, পানি হুর হুর করে বাড়ে। পদ্মা-গড়াইয়ে সেই পানি বাড়ার প্রবণতা ফারাক্কার কারণে অন্য মাত্রা পায়, সেটা কি নতুন কিছু? পাউবো বা স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলীরা যেখান থেকে সনদ অর্জন করেছেন, সেখানে এটা পড়ানো না হলেও তাঁরা তো এ দেশেরই সন্তান; নদীকে চিনতে কি বই পড়া লাগে?

সবচেয়ে বিচলিত করা খবর আসছে বাঙ্গালী নদী থেকে। এ নদীর ভাঙন নিয়ে অবসরে যাওয়া নদী বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত, সে কথা তাঁরা দিল খুলেই বলেছেন। অন্য নদী ভাঙা আর বাঙ্গালী ভাঙার মধ্যে যে আকাশ-পাতাল ফারাক, সেটা নীতিনির্ধারকদের বুঝতে বড্ড দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাঙালি আর যমুনার মধ্যে দূরত্ব কমতে কমতে কোথাও কোথাও প্রায় দৃষ্টিসীমার মধ্যেই চলে আসা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই দুই নদী এক হয়ে গেলে যে সংকট তৈরি হবে, তা বুঝতে না পারাটা অপরাধ।

নতুন করে ভাবতে হবে

বাংলাদেশে যেভাবে নদী একই এলাকায় বছরের পর বছর ভাঙে বা ভাঙন চলতে দেওয়া হয়; তার নজির আর কোনো বদ্বীপে আছে কি? আমাদের জানা নেই। আমাদের বদ্বীপ পরিকল্পকেরা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন। মানুষ নদীভাঙনে শুধু জমি নয়; জীবিকা হারায়, আবাস হারায়, নিঃস্ব হয়। ফল-ফুলের গাছ নদীতে বিলীন হয়। প্রাণী-পাখিরা বাসস্থান হারায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গীতিতে সেটা ‘সকাল বেলা আমির রে ভাই/ ফকীর সন্ধ্যা বেলা’।

ভাঙনের ক্ষতি শুধু জমির হিসাবে কষলেও যে চিত্রটা আসে, তা–ও কম ভয়াবহ নয়। গত চার দশকে কমবেশি এক লাখ হেক্টর ভূমি নদীগর্ভে চলে গেছে। তার মানে মেহেরপুর জেলা ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সমপরিমাণ জমির চেয়েও বেশি ভূমি আমরা হারিয়েছি।

আমাদের বুঝতে হবে বাংলাদেশে যে নদীভাঙন, তা নিছক প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া বা অ্যাক্ট অব গড নয়। নদীর কথা না শুনে নদীর সঙ্গে কথা না বলে তাকে শাসন করার এক স্বৈরাচারী মনোভাবের ফসল আমরা দেখতে পাচ্ছি। এ রকম মনোভাব থেকে জন্ম নেয় অবহেলায় মাখা ভুল উন্নয়নের পুতুল পরিকল্পনা বা মডেল। এসব দিগ্ভ্রান্ত কল্পনাবিলাসী পরিকল্পনার কবজায় পড়ে আমাদের গ্রাম ও শহর হিমশিম খাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে নদীর করালগ্রাসে। বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। ভাঙন রক্ষার নামে নদীর কূল রক্ষার একমুখী উদ্যোগে একূল ওকূল দুকূলই এখন বিপন্ন। পলিবাহী নদীর সঙ্গে বসবাস করতে হলে একদিকে যেমন পাড় বাঁধতে হয়, অন্যদিকে দরকার হয় নদীর পানিপ্রবাহকে যতটা সম্ভব মাঝদরিয়ায় রাখার ব্যবস্থা করা। সেখানে যেন যথেষ্ট গভীরতা বজায় থাকে। কিন্তু আমাদের কপাল মন্দ, আমরা নদীকে শেখাতে (নদী প্রশিক্ষণ বা নদীশাসন) নদীর কাছ থেকে শিখিনি। শিখতে চাইনি। শুধু পাড় বাঁধার দিকে আমাদের সব মনোযোগ। নদীকে খুশি রেখে তার প্রবাহকে মাঝনদীতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কানাকড়ির আগ্রহ নেই। আগ্রহ থাকত, যদি সেটা করার জন্য জ্বালানিনির্ভর ব্যয়বহুল নদী খনন বা ড্রেজিংয়ের প্রস্তাব থাকত। পলিবাহী নদীতে যান্ত্রিক খনন শুধু যে অবাস্তব, তা–ই নয় বরং পরিবেশ ও প্রতিবেশধ্বংসী একটা অর্বাচীন উদ্যোগ। এমনটি করতে গেলে নদীর মাছ ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ঠিকানা ও বংশ প্রসারের (প্রজনন) পরিবেশ নষ্ট হবে।

তাহলে এত সব নদীর নাব্যতা রক্ষা হবে কীভাবে? ড্রেজার আসার আগে কীভাবে এ দেশের মানুষ গঙ্গা-যমুনা অববাহিকার নাব্যতা রক্ষা করতেন? কীভাবে তাঁরা ভাঙনকে পাশ কাটিয়ে লোকালয় গড়ে তুলতেন? লোকায়ত সেসব প্রযুক্তি আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

প্রথম আলো বন্ধুসভার আর্থিক সহায়তায় গাইবান্ধার কুন্দেরপাড়া চরে ২০১৮ সালে লোকায়ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি স্কুলের ভাঙন তিন বছর ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছিল। বছর বছর নদীর চলাফেরা দেখে কাজ করতে পারলে ভাঙন আরও বেশি দিন প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো।

খুবই সাশ্রয়ী আর সহজ এই পদ্ধতিকে ‘বান্ধাল’ বলে, ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘ব্যান্ডেলিং’। গুগল সার্চ দিলে হু হু করে চলে আসবে এর আদ্যোপান্ত। এই প্রযুক্তিতে বাঁশ ও ধঞ্চের মতো স্থানীয়, পরিবেশসম্মত, স্বল্পমূল্যের উপকরণ ছাড়া আর কিছুই লাগে না। ব্রহ্মপুত্রবিধৌত এলাকায় টিমটিম করে এখনো এটার চল আছে। মোটামুটি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় একেকটি বান্ধাল তৈরি করা যায়। সময় লাগলেও এক কিলোমিটার পরপর শক্ত করে বান্ধাল বসানো গেলে স্রোত ঘুরিয়ে নদীর তীরমুখিতা বশে আনা সম্ভব। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলের কোথাও কোথাও সংগঠিত জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রবল জলধারাকে বশে আনতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলছে। এসব লোকায়ত জ্ঞানকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন গবেষণা। কেবল একটি-দুটি ‘পাইলটিং’ নয়, বরং মূলধারার কার্যক্রমে এগুলোকে পাত্তা দিতে হবে।

‘কম দামি’ এই নদী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণে অনেক বাধা আসবে। এক ভাগকে সাত ভাগ করে হলেও ‘খেতে’ যারা অভ্যস্ত, তারা নদীপারের মানুষের সঙ্গে বসে নদীর কথা শুনে তার মেজাজ বুঝে কাজ করতে কেন আগ্রহী হবে? সৎ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া এই দুস্তর পথ অতিক্রম সম্ভব হবে কি?


● লেখক: গবেষক [email protected]