বৃষ্টি হতে পারে আজও

ফাইল ছবি।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে আজ মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ দিবাগত রাত একটা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

টানা এক সপ্তাহ দাবদাহের পর রাজধানীতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি নামে। সেই সঙ্গে বজ্রপাত আর কালবৈশাখীও বয়ে গেছে। এক মিনিটের কম সময়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫২ কিলোমিটার। এক ঘণ্টার টানা বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে রাতের মধ্যে রাজধানীর তাপমাত্রা এক লাফে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমে যায়।

আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। দেশের উপকূলে আঘাত না করলেও ২৭ মে পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহ ও কক্সবাজারে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল বুধবার ভোরের দিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় পৌঁছাতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো বাতাস হিসেবে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।