
চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইনে শঙ্খের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত এক মাসে নদে ঘর বিলীন হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে কমপক্ষে সাতটি পরিবার। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক বসতঘর।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত এক সপ্তাহে ভাঙনে মধ্য বারখাইনের শাহরপাড়া ও বোগারপাড়া সড়কের কিছু অংশ ক্ষতি হয়েছে। তবে নতুন করে আর কোনো ঘর বিলীন হয়নি।
সরেজমিনে বারখাইন জলদাসপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তৈলারদ্বীপ ফেরিঘাট থেকে উত্তরে প্রতাপ মজুমদারের বাড়ি পর্যন্ত মধ্যম বারখাইন গ্রামের এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙছে শঙ্খের পাড়। ঝুঁকিতে রয়েছে জলদাসপাড়া, শাহারপাড়া, মল্লিকপাড়া ও নগেন্দ্র মজুমদার বাড়ির অর্ধশতাধিক ঘর। অনেকে ভাঙনকবলিত বসতভিটায় অলস বসে আছে। এসব ঘর থেকে ইতিমধ্যে মালামাল সরিয়ে নিয়েছে বাসিন্দারা।
জলদাসপাড়ার বাসিন্দা হরি চাঁন দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘শঙ্খের ভাঙনে পড়ে নিঃস্ব হলেও কেউ আমাদের খবর নিচ্ছে না। চোখের সামনেই বাপ-দাদার বাড়ি বিলীন হচ্ছে।’
কথা হয় পাড়ার আরেক বাসিন্দা তাপসী দাশের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছরে এ নিয়ে দুবার শঙ্খের ভাঙনে ঘর বিলীন হয়েছে। চোখের সামনেই ঘর চলে যায়, অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকি। এখানে আর থাকব না, পরিবার নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাব।’
পাড়াটিতে এর মধ্যে ঘর বিলীন হয়ে গেছে বিভীষণ দাস, শিশুগোপাল দাস, ধর্মগোপাল দাস, গ্রহনাথ দাস, বাছুরাম দাস ও বাসকী দাসেরও। এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত পাঁচ বছরে শতাধিক ঘর নদের গর্ভে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের আনোয়ারার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী ফরায়েজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যম বারখাইনে ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ করা হবে। ভাঙন থেকে রক্ষায় বড় প্রকল্প লাগবে।