মোংলা বন্দর এলাকায় দূষণের দায়ে জেল-জরিমানা হবে

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

পরিবেশদূষণের দায়ে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২ পাস হয়েছে। এতে কোনো ব্যক্তি বা জাহাজ বন্দরসীমানা দূষিত করলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

পাসের আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা জাহাজ যদি বন্দরসীমানার মধ্যে পানিতে, সৈকতে, তীরে বা ভূমিতে কোনো বর্জ্য, ছাই, তেল বা তেলজাতীয় পদার্থ বা অন্য কিছু নিক্ষেপ করে অথবা নিক্ষেপ করার অনুমতি দেয়, যা দ্বারা পানি ও পরিবেশ দূষিত হয়, জলজ প্রাণী, উদ্ভিদ প্রভৃতির ক্ষতি হয়, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।

এ ধরনের অপরাধ প্রথমবার করলে অন্যূন এক বছর, সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে।

পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে ২ বছর থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে।

বিলে মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ জন্য মোংলা পোর্ট অথোরিটি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬-এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

বিলে টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকির ক্ষেত্রে ছয় মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে সরল বিশ্বাসে করা কাজ রক্ষণের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের কারণে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ বা এর চেয়ারম্যান, কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা রুজু করা যাবে না। কিংবা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারাও নেওয়া যাবে না।

এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, এ ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরল বিশ্বাস বলতে অবহেলার সঙ্গে করা হোক বা না হোক, প্রকৃতপক্ষে সততার সঙ্গে করা হলে কোনো কিছু ‘সরল বিশ্বাস’-এ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।