শুক্রবার দেশের অনেক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ, আসছে বৃষ্টি
দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আবারও শীত জেঁকে বসেছে। এক দিনে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা এক থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ছিল বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কাল শুক্রবার তাপমাত্রা হালকা বাড়লেও উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, কাল দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে পরের দিন শনিবার থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের বাকি এলাকাগুলোতে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে। রোববার বা সোমবার থেকে শীত আবারও জেঁকে বসতে পারে। তবে ওই সময় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আকাশে মেঘ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে আগামী দু-এক দিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। মেঘ-বৃষ্টি চলে গেলে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃত হয়ে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শীত বাড়তে পারে।
এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়—৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল ৩১ জানুয়ারিতে তেঁতুলিয়ায়। ওই দিন সেখানকার তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। ২০২১ সালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ জানুয়ারি নওগাঁর বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার একই এলাকা দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় কুয়াশা কম ছিল। দিনে রোদ থাকায় তাপমাত্রা বেশির ভাগ অঞ্চলে ২১ থেকে প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছিল। তবে সূর্য ডোবার পর সন্ধ্যায় শীতের দাপট বাড়তে থাকে।