বায়ুদূষণ রোধে ৫ ঘোষণা দিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র

‘সেভ ইয়োর ব্রেথ—ক্লিন এয়ার ইমপারেটিভস’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুলছবি: শক্তি ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে

বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পাঁচটি ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব ঘোষণা দেন উত্তরের মেয়র।

ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এনজিও ‘শক্তি ফাউন্ডেশন’ যৌথভাবে ‘সেভ ইয়োর ব্রেথ—ক্লিন এয়ার ইমপারেটিভস’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপের আয়োজন করে। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠান হয়।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে বায়ুর গুণমান উন্নতকরণে তথ্যভিত্তিক সমাধান এবং তার যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপের জন্যই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বায়ুদূষণ রোধে পাঁচটি ঘোষণা দেন। সেগুলো হলো ধুলাবাহিত বায়ুদূষণ রোধকল্পে নির্মাণস্থলে আচ্ছাদন ব্যবহার করা, বায়ুবাহিত সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয় এমন উপকরণ বহনকারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত আচ্ছাদন ব্যবহার নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়া নির্গমন হয় এমন অনুপযুক্ত যানবাহন নিষিদ্ধ করা, অপ্রয়োজনীয় পাতা এবং বর্জ্য পোড়ানো পরিহার করা এবং নালা ও খালের অবৈধ পয়োনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করা।

আজকের এই সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ইউএসএআইডি এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।

 দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত সংলাপের প্রথম পর্ব ‘ক্যাটালাইজিং ক্লিন এয়ার: রিসার্চ ট্যু অ্যাকশনাবেল ইনসাইট’ সঞ্চালনা করেন শক্তি ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ।

‘সেভ ইয়োর ব্রেথ—ক্লিন এয়ার ইমপারেটিভস’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীসহ অন্য অতিথিরা
ছবি: শক্তি ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে

এ পর্বের আলোচনায় প্রধান অতিথি মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বায়ুদূষণ একটি নীরব ঘাতক। মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ঘরের ভেতর এবং বাইরের বায়ুদূষণ চিহ্নিত ও মোকাবিলা করতে বেশকিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ লক্ষ্যে সরকারের সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে এবং সব স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একযোগে কাজ করতে হবে।

অঞ্জলি কৌর বলেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এই সমস্যার মূল কারণগুলো মোকাবিলা করতে এবং পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎসের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে। জলবিদ্যুৎ, সৌর এবং বায়ুর মতো উৎসগুলো ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৮ শতাংশ হ্রাস করতে এবং নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব ‘ম্যানেজিং এয়ার কোয়ালিটি—সল্যুশনস অ্যাক্রস সেক্টরস’ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট পার্লামেন্টের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।

দিনব্যাপী আয়োজিত এই সংলাপ অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।