আজ থাকবে তাপ–গরমের দাপট

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। কারওয়ান বাজার. ১৩ এপ্রিল।ছবি: দীপু মালাকার

সাধারণত চৈত্রে গরমের দাপট শুরু হয়। এবারও তা–ই হয়েছে। তবে আজ শনিবার চৈত্রের বিদায়ের দিনে রোদ ও গরমের দাপট একটু বেশি থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সকালের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আজ বিস্তার লাভ করতে পারে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ছয় বিভাগ থেকে তাপপ্রবাহ আট বিভাগের ওপরই ছড়িয়ে পড়তে পারে আজ। আগামীকাল রোববার ও এর পরদিন সোমবারও এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।

দেশের কোথাও গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি; বরং ছয় বিভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপরই ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ডে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, ফেনী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং ঢাকা বিভাগের ফরিদপুরে। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাপপ্রবাহের এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে এপ্রিলের শুরু থেকেই। এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা আরও দুই দিন থাকবে। তারপর ১৬ ও ১৭ এপ্রিল তাপপ্রবাহ সামান্য কমতে পারে। তারপর আবার তাপপ্রবাহ বইতে থাকবে।

তাপপ্রবাহের মূল কারণ সূর্যের অবস্থান জানিয়ে এ কে এম নাজমুল হক বলেন, উত্তর গোলার্ধ বা পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে সূর্য তাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, গুজরাটসহ ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে এই তাপপ্রবাহ রয়েছে।