দেশে বন আচ্ছাদিত ভূমি ১৪.১%: সংসদে মন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ ৯১ হাজার ৩৮১ দশমিক ৮৯ একর। সংরক্ষিত বনভূমি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নীলফামারী, নওগাঁ ও নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত।
মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ ২৫ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলে বরাদ্দকৃত অর্থ ও তহবিলের সুদ থেকে ৩ হাজার ৬৯০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৬১টি সরকারি ও ৬১টি বেসরকারিসহ ৯২২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৬০১টি সমাপ্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানের পাওনা রয়েছে—এমন অনেক ট্রাভেল এজেন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাভেল এজেন্টের কাছে বাংলাদেশ বিমানের পাওনা (খেলাপি) ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ২২৩ টাকা। কার্গো এজেন্টের কাছে পাওনা ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮০ টাকা।

বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, পাওনা টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু এজেন্ট দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এবং লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় থাকার কারণে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। অনেক এজেন্টের দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে কোনো অফিস/ অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিছু এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।