উষ্ণতার দাপট আরও দু–এক দিন

রাজধানীতে আবারও তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে। উষ্ণতার সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে শহরে ভ্যাপসা গরমের কষ্ট বেড়েছে। দেশের সাত জেলায় শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ আজ বুধবার আরও কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। সারা দেশের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আগামী দু–এক দিন উষ্ণতার এ দাপট চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলেন, আজ সকালের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এটি আরও শক্তিশালী ও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য আরও দু–এক দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে তারা। তবে ঘূর্ণিঝড় বা নিম্নচাপ যা–ই হোক না কেন, ২৫ মে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। মাঝারি থেকে ভারী ওই বৃষ্টি দুই থেকে তিন দিন চলতে পারে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা আজকের মধ্যে লঘুচাপে পরিণত হয়ে আরও শক্তিশালী হতে পারে। সাধারণত সাগরে এ ধরনের পরিস্থিতি চলার সময় ভূখণ্ড থেকে মেঘমালা ওই লঘুচাপের কেন্দ্রের দিকে চলে যায়। ফলে দেশের ভূখণ্ডে মেঘ কমে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। আগামী দু–এক দিন তাপমাত্রা বেড়ে ২৫ মে থেকে আবারও বৃষ্টি বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ২৫ থেকে ২৬ মের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য–উপাত্ত ও বাতাসের গতিমুখ অনুযায়ী এটি বাংলাদেশ বা ভারতের উপকূলের দিকে আসার আশঙ্কা বেশি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না। এ জন্য এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ফেনী, কক্সবাজার ও যশোরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর আশপাশের জেলাগুলোয় আজ তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সাধারণত জুনের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। ওই বায়ুর সঙ্গে আসা মেঘের কারণে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়। মৌসুমি বায়ুটি এখন পর্যন্ত আন্দামান সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ১০ থেকে ১২ জুনের মধ্যে এর প্রভাবে বাংলাদেশে টানা বৃষ্টি শুরু হতে পারে।