রাজধানীতে ৭৮ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখীর আঘাত

কালবৈশাখী
ফাইল ছবি

রাজধানীতে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে। ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার গতির ঝড়ের পর বৃষ্টিও ঝরেছে। ঝড়ের এই শক্তি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেকর্ড করা হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে শুরু হওয়া ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিটের কম। বৃষ্টির পরিমাণও ছিল এক মিলিমিটার।

ঝড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কিছুটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তবে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমায় স্বস্তি মিলেছে নগরবাসীর। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীতে ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার গতি নিয়ে একটি কালবৈশাখী আঘাত হানে, যা ওই সময় পর্যন্ত রাজধানীতে আঘাত হানা ঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।

এদিকে রাজধানী ছাড়াও আজ দেশের অন্তত ২০টি জেলায় কালবৈশাখীর খবর পাওয়া গেছে। সঙ্গে বজ্রপাতও ছিল। এর মধ্যে রংপুরে ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ও সাতক্ষীরায় ৫৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল বুধবারসহ আগামী দু–তিন দিন বৃষ্টি ও কালবৈশাখী চলতে পারে। হঠাৎ বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে। বিকেলের পর থেকে এ ধরনের আবহাওয়া দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশে মেঘের আনাগোনা বাড়তে পারে।

জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশের আকাশ থেকে সব মেঘ বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। এতে দেশে তাপপ্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল। তাই এ সময় যে ঝড়–বৃষ্টি হয়, তা কমে আসে। এখন দেশের আকাশে মেঘ আসা বেড়ে গেছে। আর দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় কালবৈশাখী বাড়ছে। আগামী কয়েক দিন তা আরও বাড়বে।

এদিকে দেশের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবারের তুলনায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া নওগাঁ, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোরে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘ–বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা কমে আসবে। আর তাপপ্রবাহের দাপটও এতে কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।