এসএএফ ট্যানারির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত এসএএফ ট্যানারির সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার তালতলায় ভৈরব নদের তীরে ট্যানারিটি অবস্থিত। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ট্যানারিটির কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা নিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিটটি করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।  

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী এবং এস হাসানুল বান্না। এসএএফ ট্যানারির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ গাফ্ফার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী এস হাসানুল বান্না প্রথম আলোকে বলেন, রায়ে হাইকোর্ট দূষণকারী ওই ট্যানারির কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

বেলা জানায়, যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নওয়াপাড়ার তালতলায় ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত এসএএফ ট্যানারিটি ১৯৮০ সাল থেকে আইনের বাধ্যতামূলক পরিবেশগত ছাড়পত্র, ইটিপি এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া চলে আসছে।

প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য সরাসরি ভৈরব নদে ফেলা হয়। একাধিকবার সতর্ক ও জরিমানা করা সত্ত্বেও আইন অমান্য করে দূষণ কার্যক্রম চালু রাখায় বেলা রিটটি করে।