আবার নিম্নচাপ, দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস

জোয়ারে নদীর পানি বেড়েছে। খুলনার রূপসায় পানিতে ডুবছে ঘাট। গতকাল দুপুরে
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

এক নিম্নচাপের রেশ কাটতে না কাটতেই তিন দিনের ব্যবধানে সাগরে আরেকটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপটি। এর প্রভাবে গতকাল দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোয় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আজ সোমবারও দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতেও হবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া।

নিম্নচাপের কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

নিম্নচাপটির অবস্থান নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি গতকাল ভারতের ওডিশা ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র তা সক্রিয় রয়েছে। মৌসুমি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে আজ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আজ সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এর আগেরটির চেয়ে এবারের নিম্নচাপ বাংলাদেশের অপেক্ষাকৃত কাছে আছে। তাই এর প্রভাব আগেরটির চেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, বৃষ্টির রেশ মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের ফলে সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে। এর পরিমাণ ছিল ৩১ মিলিমিটার। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বরিশাল ও পটুয়াখালীতে, ৭৭ মিলিমিটার।