বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ৩ জেলায়, বাড়তে পারে ৮ নদীর পানি

কুশিয়ার নদীর বাঁধ ভেঙে ও উপচে আজ সকাল থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ পৌর শহরের বাজার প্লাবিত হয়েছে। সড়কসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছেছবি: প্রথম আলো

দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চল বা সিলেট এলাকার অন্তত ৮ নদ–নদীর পানি বাড়ছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও বাড়তে পারে এসব নদ–নদীর পানি। আর আগামীকাল তিন জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই জেলাগুলো হলো সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ–নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাড়তে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরীর পানি বাড়তে পারে। এই সময়ে মুহুরী, ফেনী, হালদা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসকেন্দ্রের বার্তায় বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের ও যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদ-নদীর পানি আগামী চার দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।  

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ প্রথম আলোকে বলেন, অন্তত আটটি নদীর পানি আগামীকালও বাড়তে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে আছে পাহাড়ি ঢল। এর কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বুধবার থেকে দেশে বৃষ্টি কমে আসতে পারে। তখন ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।