রাজধানীতে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি, চলতে পারে সারা দিনই

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে গতকাল রোববার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে। আজ সোমবার ভোরের দিক থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে। দুপুর পর্যন্ত একটু পরপর দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। আজ দিনভর বৃষ্টি হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল অবশ্য দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতও প্রত্যাহার করা হয়েছে। চার বন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রিমাল দুর্বল হলেও বৃষ্টির কোনো কমতি নেই। শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ বেলা একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে রাজধানীতে।

বৃষ্টির কারণে আজ মেট্রোরেল চলাচলে সকাল থেকেই বিঘ্ন ঘটছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলাচল বন্ধই ছিল। এরপর চালু হলেও চলাচল নির্বিঘ্ন নয়। নগরজীবনের যাতায়াতের এই নতুন ও জনপ্রিয় অনুষঙ্গের সমস্যার কারণে রাস্তায় প্রচুর যানজট সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর কিছু কিছু এলাকায় পানি জমেছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা প্রথম আলোকে বলেন, এখন ঘূর্ণিঝড় রিমেল স্থল নিম্নচাপ হয়ে গেছে। সারা দেশেই এটি ছড়িয়ে গেছে। এর প্রভাবেই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের পেছনের অংশ টেইল বা লেজ বলে চিহ্নিত করা হয়। এর প্রভাব এখনো রয়ে গেছে বলে জানান কাজী জেবুন্নেসা। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে এর প্রভাব আছে।

আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে, ১৬৯ মিলিমিটার।