মোংলা–পায়রায় ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম–কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় ভোররাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকাল আটটায় শহরের মজমপুর থেকে ছবিটি তোলাছবি: তৌহিদী হাসান

বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে বারবার গতিপথ পরিবর্তন করছে। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে রোববার মধ্যরাত থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ সোমবার থেকে সারা দেশেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করতে পারে। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আজকের মধ্যে আবারও বরিশাল ও নোয়াখালীর দিকে মুখ করে এগোতে পারে।