জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের পানি ও স্যানিটেশন অবকাঠামোর শত শত কোটি টাকার ক্ষতি মেটাতে বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মিসরের শারম আল–শেখ শহরে চলমান ২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে এ দাবি জানান তথ্যমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পানি ও স্যানিটেশন অবকাঠামোর দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতির ওপর আলোকপাত’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ দাবি তুলে ধরেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সভাটি হয়। আজ শনিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পানি ও স্যানিটেশনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি প্রথমে অনেকে স্বীকারই করতে চায়নি। অথচ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অনেক দেশের জনজীবনে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ থেকে অর্থায়ন নয়, এ ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও নিরসনের জন্য আলাদা খাত তৈরি করে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।
কপ ২৭-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাপ্রদ উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সবাই এখানে ভালো ভালো কথা বলছি, কিন্তু যুদ্ধ যদি বন্ধ না হয়, তাহলে জলবায়ু অর্থায়নের কী হবে। অর্থাৎ আমরা যদি সত্যিই পৃথিবীকে রক্ষা করতে চাই, তবে অবিলম্বে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।’
ওয়াটারএইডের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সেখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশবিদ সালিমুল হক, জলবায়ু পরিবর্তনবিশেষজ্ঞ কলিন ম্যাককুইস্টান, পরিবেশগবেষক মো. শামস-উদ-দোহা, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক পার্থ হাফেজ শেখ ও সিনিয়র অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা আদনান কাদের এ অধিবেশনে বক্তব্য দেন।