১২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদপ্তরছবি: সংগৃহীত

তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। কমছে শীতের প্রকোপ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। রাজধানীতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ বেড়েছে গতকালের তুলনায়। তবে আজ দেশের ১২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েক দিন এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। এরপর আসছে বৃষ্টি। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির পর আবার নামতে পারে তাপমাত্রা।

আজ সকাল সাড়ে আটটায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলো ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও একই।

আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ এর পরিমাণ ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আজ প্রথম আলোকে বলেন, রংপুর বিভাগে এবং এর পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, মৌলভীবাজার ও ফেনীতে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এর বিস্তৃতি আরও কমে যাবে। রংপুর বিভাগের জেলার সংখ্যা আট। সেই অনুযায়ী দেশের ১২ জেলায় আজ শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকে বলে গণ্য করা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সে অনুযায়ী, গতকাল পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

বৃষ্টির পূর্বাভাস

এর মধ্যে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এ বৃষ্টি হতে পারে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি, বললেন আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তবে কাল বিকেলের দিকেও কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি। আর ১ ও ২ তারিখে মূলত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাব মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

চলতি মাসে দুই দফায় বৃষ্টি হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হয়েছে দেশের দক্ষিণ জনপদে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছিল ২০ ও ১৯ মিলিমিটার।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বৃষ্টির পর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে।