আরও দুই দিন থাকতে পারে তাপপ্রবাহ

চোখমুখে পানির ঝাপটা দিচ্ছেন এই পথচারী। নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায়ছবি: দিনার মাহমুদ

বৃষ্টি গত বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বস্তি এনেছিল। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা একলাফে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। পঞ্চগড়ের রাতের তাপমাত্রাও তো একলাফে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল গড়িয়ে যত দুপুরের দিকে গিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দুই দিন অন্তত উষ্ণতার ভেতর দিয়ে অর্থাৎ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কষ্ট আবারও ফিরে এসেছে। দিনের বেলা তো তাপপ্রবাহ থাকছেই, রাতের বেলার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের এলাকাও বিস্তৃত হতে পারে; পাশাপাশি বাতাসে জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অস্বস্তিও বাড়তে পারে।

আগামী সোম ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়লে তারপর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল ইসলাম

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগামী সোম ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়লে তারপর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা এবং রংপুরের কয়েকটি এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি ঝরেছে রাঙামাটিতে, ৪৪ মিলিমিটার।

দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।