বেপরোয়া সম্পদ আহরণের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে: পার্বত্যসচিব

পার্বত্য চট্টগ্রামের পানির সমস্যা নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম যথেষ্ট প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলাধারে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশায় বেপরোয়া সম্পদ আহরণের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পানির সমস্যা নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন পার্বত্যসচিব। তিনি বনভূমির পাশাপাশি জলাশয় সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির সমস্যা সমাধানে বন সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাজধানীর শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এর আয়োজন করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি। আজ ইউএনডিপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউএসএআইডির অর্থায়নে ইউএনডিপি পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মসূচির ‘ওয়াটারশেড কো–ম্যানেজমেন্ট অ্যাকটিভিটি’ একটি উদ্যোগ। এটি ২০১৩ সালে শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় ৬৫ হাজার হেক্টর বনভূমি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ, বন বিভাগ, আশিকা, তাজিংডং ও তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য, অংশীজনের সঙ্গে মিলে যৌথ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাপনা। সভায় অংশগ্রহণকারীরা কো-ম্যানেজমেন্ট অ্যাকটিভিটির বিভিন্ন কর্মসূচির সাফল্য ও কার্যকারিতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন এবং তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার পাশাপাশি স্থায়িত্বশীল জীবিকায়ন নিশ্চিত হয়েছে।

ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সোনালি দায়ারত্ন বলেন, ‘পরিবেশ ও বন রক্ষায় সচেতনতা তৈরি আমাদের কাজের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় গণসচেতনতা তৈরি ও আমাদের জীবনে পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট।’

ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।