তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। আজ শুক্রবার সকালে ধরলা ব্রিজ পাড় এলাকা থেকে তোলাছবি: প্রথম আলো

ঘন কুয়াশায় আবৃত থাকছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। নদী অববাহিকায় অতি ঘন কুয়াশা পড়ছে। সেই কুয়াশা ভেদ করে রোদ মুখ দেখতে বেলা পেরিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। পৌষের এ সময়টায় এমন পরিস্থিতি খুব বিরল নয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার দেশের তিন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তবে আগামীকাল শনিকাল থেকে শীতের প্রকোপ এসব এলাকা থেকে কমতে শুরু করবে। আর কুয়াশার প্রভাব থাকতে পারে আরও অন্তত এক সপ্তাহ।

আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। সেখানে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে কাল সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, আজ দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তবে তা কিছু জায়গা থেকে কমতে পারে।

আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮ এবং ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক আজ প্রথম আলোকে বলেন, দেশে শীতের অনুভূতি গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে খানিকটা কমলেও এখনো যথেষ্ট রয়ে গেছে। শীতের এ অনুভূতি থাকার কারণ ঘন কুয়াশা। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের কিরণ পৌঁছাতে কোথাও কোথাও বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, দিনে যেখানে অন্তত আট ঘণ্টা সূর্যের আলো থাকার কথা, সেখানে এখন থাকছে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই তাই শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।