তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে

প্রখর রোদের মধ্যে ভ্যানে করে পানি নিয়ে যাচ্ছেন চালক। ছাতা মাথায় পথ চলছেন আরেকজন। হুমায়ুন রশীদ চত্বর, সিলেটফাইল ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের দিনমজুর পারভিন আক্তার (৪৭)। তিনি এই বাজারে আলুর একটি আড়তে কাজ করেন। বসে বসে আলু বাছাই করা তাঁর কাজ। প্রতিদিন পান ৬০০ টাকা। সংসারে অসুস্থ স্বামী। তবে তিনি মাঝেমধ্যে রিকশা চালান। স্বামীর আয় নিয়মিত নয়। তাঁদের মেয়ে ও এক ছেলে সঙ্গে থাকে। মেয়েটির আবার দুটি সন্তান আছে। পুরো পরিবারটি পারভিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল।

গত এপ্রিল থেকে চলতি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নিজে অন্তত দুই বার এবং মেয়ে ও তাঁর ছেলেটি তিন বার করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পারভিন কাজে গেলে টাকা পান, না গেলে নেই। এভাবে অসুখের কারণে এ বছর ১১ দিন কাজে যেতে পারেননি, স্মরণ করে বলেন পারভিন। কারওয়ানবাজারে কাজের যে পরিবেশ, সেখানে গরমে ঘামতে হয়। কয়েক বছর ধরে গরমটা অসহনীয় বলে মনে হয় তাঁর কাছে।

পারভিন বলছিলেন, ‘ঘাম শরীরে বইসা অসুখ বাধায়। গরম এত বাড়ছে যে কওনের কথা নাই।’

পারভিনের মতো এমন অসংখ্য মানুষের এভাবেই গরমের কারণে কর্মদিবস নষ্ট হচ্ছে। এই তো গত বছরেই (২০২৪) ২১ হাজার কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটির নাম ‘অ্যান আনসাস্টেইনেবল লাইফ: দ্য ইমপ্যাক্ট অব হিট অন হেলথ অ্যান্ড দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ।’ এতে ১৯৭৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সঙ্গে আছে ২০২৪ সালে করা একটি বড় জরিপ, যেখানে দুই ধাপে ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে প্রশ্ন করা হয়।

১৯৮০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ১°ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এ সময় গরমের অনুভূতি বেড়েছে ৪ দশমিক ৫°ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ সময়ে ঢাকার গরম বেড়েছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার গরম জাতীয় গড়ের চেয়ে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি। এর ফলে ডায়রিয়া, দীর্ঘ কাশি, শ্বাসকষ্ট আর প্রচণ্ড অবসাদ—এসব রোগ বেড়েছে।

অধ্যাপক আবদুস সালাম তাঁর একাধিক গবেষণায় দেখিয়েছেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে দূষণের সম্পর্ক আছে। তিনি বলছিলেন, বিশেষ করে ঢাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কয়েকটি ক্ষতিকর গ্যাস। এর মধ্যে আছে ব্ল্যাক কার্বন, কার্বন ডাই–অক্সাইড ও মিথেন।

গরমের প্রভাবের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে। ২০২৪ সালে গরমের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ২৫ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার এবং প্রতিবেদনের সহলেখক ইফফাত মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অতিরিক্ত গরমে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এবং এর সঙ্গে সরাসরি উৎপাদনশীলতার ক্ষতিও ঘটছে। অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মানবসম্পদ ও উৎপাদনশীলতা হারানোর বাস্তব ঝুঁকির মুখে।’

প্রখর রোদে ছাতা মাথায় মাঠের মধ্যে ধান শুকাচ্ছেন এক গৃহবধূ। কাইমউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, নর্থ চ্যানেল, ফরিদপুর
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

উৎপাদনশীলতার ক্ষতি ও ঋতুভিত্তিক প্রভাব

বিশ্বব্যাংকের জরিপে দেখা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানুষ গড়ে বছরে কিছুদিন তাঁদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন না। গ্রীষ্মকালে এই কাজ না করতে পারার হার ১ দশমিক ৪ দিন এবং শীতে ১ দশমিক ২ দিন। মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে কাজ হারানোর দিন তুলনামূলকভাবে বেশি—শীতে ১ দশমিক ৯ দিন এবং গ্রীষ্মে ২ দশমিক ৩ দিন। তবে গ্রাম ও শহর এলাকার মধ্যে তেমন পার্থক্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

পুরুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় বেশি

গড় হিসাবে দেখা গেছে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে পুরুষদের কাজ হারানোর হার নারীদের তুলনায় বেশি। বয়সভেদে ৩৬ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রে কাজ হারানোর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা গ্রীষ্মে গড়ে ১ দশমিক ৭ দিন এবং শীতে ১ দশমিক ৪ দিন শারীরিক অসুস্থতায় কাজ হারিয়েছেন। মানসিক সমস্যার কারণে গ্রীষ্মে আড়াই দিন এবং শীতে দুই দিন কাজ হারানোর ঘটনা ঘটেছে। ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে মৌসুমি পরিবর্তনে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি। অপর দিকে ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মানুষ শারীরিক কারণে গ্রীষ্মে ১ দশমিক ১ দিন এবং মানসিক কারণে অতিরিক্ত ২ দশমিক ২ দিন কাজ হারিয়েছেন, যা শীতকালের তুলনায় বেশি।

ঘাম শরীরে বইসা অসুখ বাধায়। গরম এত বাড়ছে যে কওনের কথা নাই।’
পারভিন

শ্রমজীবীদের কষ্ট বেশি

কর্মঘণ্টা হারানোর ক্ষেত্রে আয়ের ভিত্তিতে পার্থক্যও লক্ষ্য করা গেছে। সবচেয়ে কম আয়ের মানুষদের গ্রীষ্মে গড়ে ১ দশমিক ৭ দিন এবং শীতে ১ দশমিক ৫ দিন কাজ নষ্ট হয়েছে, যেখানে ধনী শ্রেণির মানুষেরা হারিয়েছেন যথাক্রমে ১ দশমিক ১ ও শূন্য দশমিক ৮ দিন। মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে গ্রীষ্মে সব আয়ের মানুষের কাজ হারানোর হার প্রায় সমান থাকলেও শীতে ধনী শ্রেণির মানুষের ক্ষতি ছিল অপেক্ষাকৃত কম।

কাজের ধরন অনুযায়ী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে অদক্ষ শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে—গ্রীষ্মে ১ দশমিক ৮ দিন এবং শীতে ১ দশমিক ৭ দিন। মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণে দক্ষ শ্রমিকদের গ্রীষ্মে কাজ হারানোর হার সবচেয়ে বেশি (২.৯ দিন), আর অফিসকর্মীদের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে কম (২.২ দিন)।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ অপরিকল্পিত ও দ্রুত নগরায়ণ ও দূষণ। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে নগরায়ণ হচ্ছে দ্রুত হারে; কিন্তু এর মধ্যে কোনো পরিকল্পনার ছাপ নেই। ঢাকা ও দেশের অন্যত্র একই চিত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বব্যাংক যে গবেষণা করেছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটি তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি নতুন প্রভাবের দিকে আলোকপাত করেছে। গরমের কারণে অসুখবিসুখে তো কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়ই। আবার গরম থেকে বাঁচতে যাঁর বৈদ্যুতিক পাখা নেই, তিনি তা কিনতে চান। যাঁর এসি নেই, তিনি এসি কেনেন। এভাবে হয়তো জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব থাকে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর নেতিবাচক প্রভাবই বেশি। কারণ, অসুস্থতা বা ক্লান্তিজনিত কর্মঘণ্টা অনেক বেশি নষ্ট হয়ে যায়। আর এটি যে শুধু শ্রমজীবী মানুষের বেলায় ঘটছে তা নয়, সব পেশার মানুষের ক্ষেত্রেই এটা সত্য।

তাপমাত্রা ও উৎপাদনশীলতার ক্ষতির সম্পর্ক

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা মানুষের কাজের সক্ষমতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। জরিপের আগের ৩০ দিনে ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ৮ দিন কাজ হারানোর ঘটনা ঘটেছে। আর যখন তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়েছে, তখন কাজ হারানোর সম্ভাবনা আরও বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত ১ দশমিক ৪ দিন ক্ষতি হয়েছে, যা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের দিনের তুলনায় অনেক বেশি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ অপরিকল্পিত ও দ্রুত নগরায়ণ ও দূষণ। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে নগরায়ণ হচ্ছে দ্রুত হারে; কিন্তু এর মধ্যে কোনো পরিকল্পনার ছাপ নেই। ঢাকা ও দেশের অন্যত্র একই চিত্র।

স্কুল ছুটির পর প্রখর রোদে এক ছাতা মাথায় বাড়ি ফিরছে তিন শিক্ষার্থী। ওফাজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, নর্থ চ্যানেল, ফরিদপুর
ছবি: প্রথম আলো

বয়স্কদের কাজ হারানোর দিন বেশি

গবেষণায় দেখা গেছে, বয়সভেদে কাজ হারানোর পার্থক্য রয়েছে। ৩৬ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষদের গড়ে আড়াই দিন এবং ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষেরা ২ দশমিক ১ দিন কাজ হারানোর কথা জানিয়েছেন। এই হার ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। যদিও লিঙ্গভেদে কোনো বড় পার্থক্য পাওয়া যায়নি, তবে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতার ক্ষতি ছিল অনেক বেশি—তাঁরা গড়ে ৬ দশমিক ৩ দিন অতিরিক্ত কাজ হারিয়েছেন।

অসংক্রামক রোগও কর্মঘণ্টা নষ্ট করছে

অসংক্রামক রোগও কাজ হারানোর বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। হৃদ্‌রোগীদের গড়ে ৪ দশমিক ৭ দিন এবং ফুসফুসজনিত দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩ দশমিক ৯ দিন অতিরিক্ত কাজ হারানোর ঘটনা ঘটেছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যায় ভোগা মানুষও যথাক্রমে গড়ে ১ দশমিক ৯, ২ দশমিক ৫ এবং ১ দশমিক ৯ দিন অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্য দিকে যাঁরা বেশি সময় ঘরের ভেতরে কাটিয়েছেন, তাঁরা বাইরে বেশি সময় কাটানো মানুষদের তুলনায় গড়ে শূন্য দশমিক ১২ দিন কম কাজ হারিয়েছেন।

কম শিক্ষিতরা বেশি সংকটে

শিক্ষার স্তরও উৎপাদনশীলতা বা কাজের ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা মাধ্যমিকের চেয়ে বেশি শিক্ষিত, তাঁরা গড়ে ৩ দশমিক ৮ দিন কম কাজ হারিয়েছেন তুলনায় যাঁদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। আয় ও পেশার ক্ষেত্রেও পার্থক্য স্পষ্ট। নিম্ন আয়ের তুলনায় মধ্যম আয়ের মানুষ গড়ে ১ দশমিক ৬ দিন এবং উচ্চ আয়ের মানুষ ২ দশমিক ৯ দিন কম কাজ হারিয়েছেন। পেশাগতভাবে উন্নত কাজে নিয়োজিত কর্মীরা নিম্ন দক্ষতার মজুরি শ্রমিকদের তুলনায় ৩ দশমিক ১ দিন কম কাজ হারিয়েছেন।

শহরের মানুষ গ্রামের মানুষের তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শহরবাসীরা শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে গড়ে ১ দশমিক ৪ দিন বেশি কাজ হারানোর কথা জানিয়েছেন।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় এ অবস্থা প্রকট।

রাজধানীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা তিন দশকে (১৯৯০ থেকে ২০২০) সর্বোচ্চ গড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়েছে । তবে নগরীর যেসব এলাকায় জলাভূমি আছে, সেখানে তাপ বৃদ্ধির হার অপেক্ষাকৃত কম। তিন দশকে ঢাকার জলাভূমি কমেছে ৬৯ শতাংশ। জলাভূমি কমে যাওয়ার প্রবণতা এখনকার মতো চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এর ৯০ শতাংশ উধাও হয়ে যাবে। এতে এ নগরের তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

গত তিন দশকে রাজধানীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, জলাভূমির অবস্থা ও এলাকাভেদে তাপমাত্রাসংক্রান্ত এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গত মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট সাসটেইনেবিলিটি সাময়িকীতে ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যাট দ্য কস্ট অব আনসাসটেইনেবল ডিগ্রেডেশন অব ওয়েটল্যান্ডস: আনরেভিলিং দ্য ডায়নামিকস (হিস্টোরিক অ্যান্ড ফিউচার) অব ওয়েটল্যান্ডস ইন দ্য মেগাসিটি ঢাকা’ শীর্ষক গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। এ গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

অধ্যাপক আবদুস সালাম তাঁর একাধিক গবেষণায় দেখিয়েছেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে দূষণের সম্পর্ক আছে। তিনি বলছিলেন, বিশেষ করে ঢাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কয়েকটি ক্ষতিকর গ্যাস। এর মধ্যে আছে ব্ল্যাক কার্বন, কার্বন ডাই–অক্সাইড ও মিথেন। গাড়ির কালো ধোঁয়া ও ইটভাটা ইত্যাদির ক্ষতিকর গ্যাস এসব গ্যাস উৎপাদনে ভূমিকা আছে; কিন্তু দূষণের এসব উৎস বন্ধ করতে কোনো তৎপরতা আমরা দেখি না।