বিশেষ সাক্ষাৎকার এম আসাদুজ্জামান

জলবায়ুর বাস্তব সমস্যা সামনে এনেছে দুবাই সম্মেলন

ড. এম আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক। সরকারের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া দেশের খাদ্য, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক নীতি ও গবেষণায় যুক্ত তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ নিয়ে তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ

প্রথম আলো:

কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন শুরুর আগেই বিতর্ক শুরু হয়। আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বের অন্যতম জীবাশ্ম জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ। এখানে এই সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এম আসাদুজ্জামান: এটা ঠিক, দুবাই বিশ্বের তেল ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র। আর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো। সুতরাং আয়োজক দেশ তেল-গ্যাস ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিলে আলোচনা সফল হওয়ার কথা নয়। তবে এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজক দেশ যারাই থাকুক, আলোচনা একটি সাধারণ নিয়ম মেনে চলে। জাতিসংঘ থেকে আলোচনার মূল বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করা হয়। কোন দেশ তেল-গ্যাসের লবি আর কোন দেশ কয়লার ব্যবসা করে, তা ওই সব দেশের বিষয়। আলোচনা হয় রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে গঠিত নানা গ্রুপের মাধ্যমে। যেমন ধনী দেশগুলোর জোট অ্যানেক্স-১, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোট এলডিসি, উন্নয়নশীল দেশের জোট জি-৭৭ ও চীন, ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোট এওএসআইএস নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। তারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা করে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পর রাষ্ট্রগুলো এই বলে সম্মত হয়েছে, এই শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা তারা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেবে না। পরের জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে ওই চুক্তি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগের সব জলবায়ু সম্মেলনের তুলনায় আমি এবার অনুষ্ঠিত দুবাই সম্মেলনকে বেশি সফল মনে করি।

প্রথম আলো:

দুবাই সম্মেলনে তো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা আসেনি। ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়েছে।

এম আসাদুজ্জামান: জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের ঘোষণা না এলেও কীভাবে তা বন্ধ করা যায়, রাষ্ট্রগুলো সে ব্যাপারে একমত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো জলবায়ু সম্মেলনের ঘোষণায় জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের ব্যাপারে রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয়েছে। বৈশ্বিক ওই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তারা নিজ নিজ পরিকল্পনা ২০২৫ সালের মধ্যে হাজির করবে। এত দিন যেসব জলবায়ু সম্মেলন হয়েছে, সেগুলোতে তো জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের ব্যাপারে কেউ আলোচনা করতেই রাজি ছিল না। এবার রাজি হওয়াকে আমি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন মনে করি। এখন কোন রাষ্ট্র ওই অঙ্গীকার কতটুকু এবং কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, সেগুলো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কোনো দেশ আরেকটি দেশের ওপর এ নিয়ে জোরাজুরি করতে পারে না।

এত দিন জলবায়ু সম্মেলনে বাস্তব জগতের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে দেখিনি। কার্বন নিঃসরণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পথ হাতড়াতে আমরা অনেক বছর পার করেছি। অথচ এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বেড়ে যেসব দুর্যোগ বাড়ছে, ঋতুচক্রের মধ্যে বদল এসে কৃষি ব্যবস্থায় বড় ধরনের বদল ঘটছে। অনেক ফসলের উৎপাদন কমে আসছে। স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গুর মতো রোগ বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে খাওয়ার পানি ও সেচের পানির সংকট বাড়ছে।

বিশেষ করে সাগরপারের দেশগুলোতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। এসব সমস্যাকে আমলে নিয়ে এত দিন সমাধানের পথ খোঁজার কাজটি হয়নি। এবারের সম্মেলনে কৃষি, স্বাস্থ্য ও পানির মতো মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সর্বসম্মত ঘোষণা এসেছে। আমি বলব, এবারের জলবায়ু সম্মেলন বাস্তব জগতে নেমে এসেছে।

প্রথম আলো:

সম্মেলনের মূল ঘোষণা হিসেবে ‘গ্লোবাল স্টকটেক’কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

এম আসাদুজ্জামান: ‘গ্লোবাল স্টকটেক’ এবারের সম্মেলনের মূল ঘোষণা হিসেবে আসা দলিল। এই দলিলের মধ্য দিয়ে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি যে প্রধানত দায়ী, সেটা জাতিসংঘ মেনে নিল। কোন দেশ কী পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে এবং তাদের কী পরিমাণে এটি কমাতে হবে, তার একটি রূপরেখা এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। এখন থেকে বিশ্বের সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কী করছে, তার হালনাগাদ তথ্য জানাবে। ফলে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিকভাবে জবাবদিহি তৈরির একটি কাঠামো তৈরি হলো।

যেমন এই প্রথমবারের মতো বিশ্বের বেশি কার্বন নিঃসরণকারী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধের ব্যাপারে জাতিসংঘের মাধ্যমে একটি অঙ্গীকার এল। তেল-গ্যাসসহ অন্য উৎসগুলো থেকে যে কার্বন নিঃসরিত হয়, তা কমাতে রাষ্ট্রগুলো অঙ্গীকার করল। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে অঙ্গীকার করল। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, রাষ্ট্রগুলো এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে কি না। আমি বলব, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ থেকে বাঁচাতে হলে সব রাষ্ট্রকে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, এখন জলবায়ু পরিবর্তন কোনো নির্দিষ্ট একটি দেশে আঘাত করছে না। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে এই বিপদ পৌঁছে গেছে।

প্রথম আলো:

বাংলাদেশ এসব অঙ্গীকার কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবে?

এম আসাদুজ্জামান: এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সামনে সমস্যা অনেক। আমরা আমাদের মোট জ্বালানি শক্তির মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ সৌর ও বায়ুচালিত বিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাচ্ছি। বাকিটা কয়লা, তেল ও গ্যাসনির্ভর। এখন চাইলেই আমরা কয়েক বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস কয়েক গুণ বাড়াতে পারব না। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। এটা অনেক আগে থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা রামপাল ও পায়রার মতো কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে একের পর এক বিনিয়োগ করে গেছি।

আমরা শুধু রাজধানীর কথাই যদি চিন্তা করি, আমরা সামান্য গৃহস্থ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এখন শুনছি, ওই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। আগে আমাদের ময়লা পরিষ্কার করা শিখতে হবে। তারপর সেগুলো কীভাবে জ্বালানিতে রূপান্তর করব, সেই পরিকল্পনায় যেতে হবে।

যেমন উন্নত দেশগুলোতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে জলবায়ুবান্ধব প্রযুক্তি আসছে। ভবনের দেয়ালে বিশেষ ধরনের গুঁড়া দিয়ে প্লাস্টার করলে ভবনের ভেতরে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসে। এভাবে তাপমাত্রা কমানোর সুযোগ থাকলে আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহারও কমে আসবে। ফলে বিদ্যুৎ কম উৎপাদন করলেও চলবে। যানবাহনের জ্বালানির প্রচুর বিকল্প এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস উদ্ভাবন হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেয়ে ব্যবহার কমানোর দিকে নজর দিতে হবে।

প্রথম আলো:

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড বা জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিলের ভবিষ্যৎ কী দেখেন?

এম আসাদুজ্জামান: জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের প্রেক্ষাপটটা আমাদের আগে বুঝতে হবে। এ বিষয়ে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে প্রথম আলোচনা আসে। বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনায় অ্যাডাপটেশন বা অভিযোজন এবং মিটিগেশন বা কার্বন নিঃসরণ প্রশমন নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, তখন দ্বীপরাষ্ট্রগুলো বলল অভিযোজন মানে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করে টিকে থাকা। যেমন ঘূর্ণিঝড় বা বন্যায় কারও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মেরামত করা বা এমনভাবে বাড়িঘর করা, যাতে এ ধরনের দুর্যোগের পরও টিকে থাকা যায়।

কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রগুলো থেকে বলা হলো, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে তাদের পুরো ভূখণ্ড ডুবে যাবে। তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন তো তাদের কাছে নিজ এলাকা থেকে সমূলে উচ্ছেদ হওয়ার বিষয়। একই সঙ্গে তাদের জীবিকা, সংস্কৃতিসহ সবকিছু হারিয়ে যেতে পারে। ওই ক্ষতি তো পোষানো যাবে না। আর ক্ষয়ক্ষতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সহযোগিতা লাগবে। প্রকল্প বা তহবিলের দীর্ঘসূত্রতায় বসে থাকলে তো চলবে না।

বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রে গ্যাস বেড়ে যাবে। এতে অনেক মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণী চিরতরে হারিয়ে যাবে। বনভূমির উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে শুধু সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা নয়, উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলেও অনেক স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। সেই ক্ষতি মোকাবিলা করার সুযোগ নেই। ফলে এসব প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড নীতিগতভাবে অনুমোদন পায়। এবার সেখানে প্রায় ৮০ কোটি ডলার জমা দেওয়ার ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলো অঙ্গীকার করেছে। তবে যে পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে, তা চলমান ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় যথেষ্ট নয়। যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক ক্ষতি হবে, তহবিল লাগবে। ফলে ওই তহবিলের যাত্রা শুরু হওয়া ইতিবাচক।

কপ-২৮
প্রথম আলো:

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশও স্থায়ী ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় এ বছর চারটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। সেখানকার মানুষ ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে না পেরে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।

এম আসাদুজ্জামান: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এসব কথা শুধু মুখে বললে হবে না। এ জন্য যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ হাজির করতে হবে। ওই ক্ষতি পোষাতে আমরা কীভাবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড ব্যবহার করে ক্ষতি কমাব, তার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দিতে হবে। নয়তো সেখান থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না। বিপন্নতা আর ক্ষয়ক্ষতি ওই তহবিল পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা নয়। এই তহবিলের আরেকটি বিপদ আছে। জাতিসংঘের আওতায় সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ), অভিযোজন তহবিলসহ বেশ কয়েকটি তহবিল আছে। শিল্পোন্নত দেশগুলো অন্য তহবিলের জন্য অঙ্গীকার করা অর্থ এই নতুন তহবিলে দিতে পারে। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, এখানে নতুন অর্থ দিতে হবে। এখান থেকে অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের এটিও খেয়াল রাখতে হবে।

এর আগে জিসিএফ থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে তহবিল পেতে বাংলাদেশকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক ক্ষয়ক্ষতির কথা মুখে বলি। কিন্তু বাস্তবে এসব দুর্যোগ বা পরিবর্তনের জন্য যে জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী, তার কোনো প্রমাণ আমরা হাজির করতে পারি না। এ জন্য যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা দরকার এবং তার ফলাফল আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রচার করা দরকার, সেই প্রস্তুতি আমাদের কম। আর জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সমস্যা তো আছেই। ফলে সামগ্রিকভাবে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের অর্জনকে আমাদের দেশের বিপন্ন মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম আলো:

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এম আসাদুজ্জামান: আপনাকেও ধন্যবাদ।