গভীর নিম্নচাপটি রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত

ছবি: আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর আজ শনিবার বিকেলে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, আজ রাতেই এ গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে রিমাল। এর অর্থ হলো বালু। নামটি ওমানের দেওয়া।

গতকাল শুক্রবার দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। আজ সকালেও তা বহাল ছিল। কিন্তু আজ বিকেলের দিকে তা নামিয়ে বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখানোর কথা জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ঘোষণা হলে পরিস্থিতির বিবেচনায় সংকেত পাল্টে যাবে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আজ রাতেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর দেশে এর অগ্রভাগের প্রভাব আগামীকাল দুপুরের পর থেকেই পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শামীম আহসান।

আজ এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে একই এলাকায় আছে। এটি আজ সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আরও পড়ুন

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।