রাজশাহীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, দেশজুড়ে চার–পাঁচ দিনে আরও কমবে
মাঝ হেমন্তের বাতাসে এখন শীতের ইঙ্গিত। সকালবেলার কুয়াশা ঘাসে মেলে দেয় সাদা আস্তর। রোদ ওঠে দেরিতে, আর দিন ফুরায় আগেভাগে। রাজধানীর ধুলাবালু, যানবাহনের দৌরাত্ম্য, কলকারখানার দূষণে কার্তিক শেষের এমন চিত্র এখানে অনেকটাই অনুপস্থিত।
তবে উত্তরে হাওয়ার দাপট কিন্তু দেশের উত্তর প্রান্তের জনপদে সেই ‘গা শিন শিন’ করা আশ্বিনের শেষ থেকেই। এখন সেখানে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
শীত এখনো পুরোটা নামেনি—সে যেন আসছে ধীরে, নিঃশব্দে। রাজধানীর বাতাসেও তার আগমন টের পাওয়া যায় কিছুটা। দিনের বেলা প্রায় দুই কোটি মানুষের শহরে তাপ অনেকটাই বেশি এখনো। রাতে কিন্তু তা কমে আসে। ফ্যান বা এসি চালিয়ে ঘুমাতে যাওয়া অনেকেরই অভিজ্ঞতা, ভোর রাতে ফ্যানের গতি কমাতে হয়। এসি বন্ধ বা বাড়িয়ে দিতে হয়। তাদের মধ্যে শীতকাতুরে যাঁরা, তাঁরা এখনই গায়ে চাদর দিচ্ছেন। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরই আছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলছিলেন, তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে উত্তরের জেলাগুলোতে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে। অবশ্য রাজধানীসহ সবখানেই তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন তাপমাত্রা এভাবে কমতে থাকবে। তারপর আবার বাড়তে পারে কিছুটা।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ছয়টি করে মোট ১২টি স্টেশনের আবহাওয়ার বার্তা পাওয়া যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায়। দেখা গেছে, এর মধ্যে গতকাল তিন স্টেশনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০–এর ঘরে ছিল। বাকিগুলোতে তাপমাত্রা ২০–এর নিচে নেমে গেছে।
তাপমাত্রা কমছে রাজধানীতেও। গতকাল এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন হাফিজুর রহমান।