বেলাকে চার বছর মেয়াদি এক প্রকল্প অনুদান দেবে সুইডেন

বেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (বাঁয়ে) ও সুইডেন দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতাপ্রধান মারিয়া স্ট্রিডসম্যানছবি : সংগৃহীত

সুইডেন দূতাবাস ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) মধ্যে একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসে সম্প্রতি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ‘ডিফেন্ডিং এনভায়রনমেন্টাল রাইটস অ্যান্ড প্রমোটিং জাস্টিস’ নামের চার বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে।

সুইডেনের পক্ষে দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতাপ্রধান মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং বেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বেলা এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য নাগরিকদের পরিবেশসংশ্লিষ্ট অধিকার সংরক্ষণ করা, পরিবেশগত ন্যায়বিচার ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা ও সম্মতি বাড়ানো। পাশাপাশি প্রগতিশীল, ন্যায্য, কার্যকর বৈশ্বিক আইনি আদেশে আবদান রাখা।

মারিয়া স্ট্রিডসম্যান বলেন, বেলার সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারাটা বাংলাদেশের পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখার ক্ষেত্রে সুযোগের দরজা খুলে দেয়। ভূমি, বন, পানি, বাতাস, জীববৈচিত্র্যসহ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় একটি আইনি সহায়ক শক্তি হিসেবে বেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বেলা ও সুইডেন দূতাবাস ২০১৯ সালে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। তখন উল্লিখিত প্রকল্পটির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়েছিল। মারিয়া স্ট্রিডসম্যান জোর দিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় বেলা একটি বিশ্বস্ত অংশীদার এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তাই এই সহযোগিতা কেবল একটি আর্থিক প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশে পরিবেশগত আইন মেনে চলার বিস্তৃতি ঘটাতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় অব্যাহতভাবে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেলাকে সাহায্য করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে এবং সুইডেন দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়কা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম।