ঢাকায় কতটা বৃষ্টি হলো, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বৃষ্টি
ফাইল ছবি

রাজধানীতে আজ সোমবার সকাল থেকে মেঘ-রোদের খেলা চলেছে। দিন গড়াতে শুরু করলে মেঘ বেড়েছে। দুপুর ১২টার দিকে একটু একটু করে বৃষ্টি ঝরছিল। বেলা দুইটার দিকে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদদের কথা, মৌসুমি বায়ু প্রায় চলে যাওয়ার এই সময়ে এ বৃষ্টি বেশিই বলা যায়। অথচ প্রায় তিন দিন ধরে রাজধানীতে বৃষ্টি সেই অর্থে ছিল না বললেই চলে।

বৃষ্টির পর রাজধানীর তাপমাত্রা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, আজ রাজধানীতে আবার বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুপুরের মতো এত বেশি হবে না। বৃষ্টি হতে পারে কাল মঙ্গলবারও। আগামী বুধবার থেকে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কাও আছে। তাতে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। তবে অন্য অঞ্চলে কমতে পারে।

গত জুলাই মাসে গড় বৃষ্টির চেয়ে ৬০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছিল। আগস্টে অবশ্য গড়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়। চলতি সেপ্টেম্বরেও স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে—আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ মাসের পূর্বাভাস তেমনই। অবশ্য বৃষ্টি চলতে থাকলেও গরম কিন্তু কমছে না। ভাদ্রের তালপাকা গরম বলতে যা বোঝায়, তেমনই আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমছে, আবার গরম বাড়ছে। তেমনি দুই দিন বৃষ্টি না থাকায় রাজধানীতে তাপমাত্রা বেড়েছিল। তবে আজকের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা অন্তত ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আসলে তিন ঘণ্টা বৃষ্টি বলা হলেও খুব বৃষ্টি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। বছরের এ সময়ে এটাকে অনেক বৃষ্টিই বলা যেতে পারে।

বৃষ্টি হওয়ার পর রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ জন্য যানজটও সৃষ্টি হয় বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টির পর অবশ্য রাজধানীর তাপমাত্রা কমেছে। বেলা ৩টার দিকে তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে তাপমাত্রা খানিকটা কমবে। আর বুধবার থেকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তা যদি হয়, তবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়বে; কমে যাবে অন্য এলাকায়। তবে এরপর চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।